নভেম্বর ২০, ২০২৪

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বেক্সিমকোর মালিকদের সঙ্গে জড়িত ১১৭ বেনিফিশিয়ারি ওনার্স (বিও) অ্যাকাউন্টের পোর্টফোলিও স্টেটমেন্টসহ বিস্তারিত তথ্য জানতে চেয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

বিও অ্যাকাউন্টে বিনিয়োগকারীদের শেয়ার ও টাকা থাকে। এর মাধ্যমে তারা শেয়ার কেনাবেচা করতে পারেন। পোর্টফোলিও স্টেটমেন্ট গ্রাহকের আগ্রহ ও তাদের বিনিয়োগ সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য দেয়।

পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা স্টক এক্সচেঞ্জের কাছে তথ্য জানতে চেয়ে বলেছে বাংলাদেশ ফাইন্যানসিয়াল ইনটেলিজেনস ইউনিট (বিএফআইইউ) এসব তথ্য চেয়েছে। বিএফআইইউর নির্দেশনা অনুযায়ী এসব হিসাব জব্দের নির্দেশও দিয়েছে বিএসইসি।

গত ১৪ নভেম্বর চিঠি পাওয়ার পর গতকাল মঙ্গলবার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ ব্রোকারেজ হাউসগুলোকে বিও হিসাবের কেওয়াইসি (নো ইউর কাস্টমার) ফরম ও স্টেটমেন্ট আগামী তিন দিনের মধ্যে জমা দিতে বলেছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিএসইসির এক শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, ‘এই ১১৭ বিও হিসাবের সবগুলোতেই বেক্সিমকোর মালিকরা জড়িত।’ তিনি আরও বলেন, ‘শেয়ারের দাম কারসাজিতে বেক্সিমকোর জড়িত থাকার অভিযোগে এসব বিও অ্যাকাউন্টের কয়েকজন মালিককে নিয়ন্ত্রক সংস্থা জরিমানা করেছে।’

গত ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর বেক্সিমকোর ভাইস চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমানকে দুটি হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়।

এরপর থেকে বেক্সিমকো টাকার অভাবে ভুগছে। কর্মীদের বকেয়া বেতন দিতে পারছে না। কাঁচামাল আমদানিতে এলসি খুলতে না পারায় গত আগস্ট থেকে কারখানাগুলো বন্ধ আছে। বর্তমানে বেক্সিমকোর ২৪ প্রতিষ্ঠান বন্ধ।

এ দিকে, বেক্সিমকোর ৬০ কোটি টাকা ঋণের আবেদন নাকচ করেছে জনতা ব্যাংক।

গত আগস্টের শেষের দিকে বিএসইসি সালমান এফ রহমানের বিও অ্যাকাউন্ট জব্দ করে। বিএফআইইউ সব ব্যাংককে তার মালিকানাধীন যেকোনো অ্যাকাউন্ট জব্দের নির্দেশ দেয়।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...