শীতকালে ত্বকের যত্নের পাশাপাশি হাত-পায়েরও যত্ন নিতে হবে। এ সময় ময়েশ্চারাইজ়ারের অভাবে হাত-পা হয়ে ওঠে শুষ্ক, খসখসে ও প্রাণহীন।
অনেকের হাতের ত্বকের চামড়াও ফেটে লাল হয়ে যায়। খসখসে কনুই বা গোড়ালি ফাটার সমস্যাও হয়। এ ছাড়া থাইরয়েড, ডায়াবেটিস, সিওপিডি, অ্যালার্জি ও ভিটামিনের অভাব শুষ্কতার অন্যতম কারণ।
আসুন জেনে নিই শীতের ত্বকের কোমলতা ধরে রাখার করণীয় সম্পর্কে-
১. পায়ের রুক্ষতা শীতের সাধারণ সমস্যা। এ সমস্যা থেকে বাঁচতে পরিমাণমতো পাকা কলা, পাকা পেঁপে, আপেল, কয়েক ফোঁটা অলিভ অয়েল, সামান্য দুধের সরের মিশ্রণ লাগিয়ে ১৫ মিনিট রেখে দিন। এর পর ধুয়ে ময়েশ্চারাইজার লাগান।
২. হাত ও পায়ের চামড়ার খোসা উঠলে পরিমাণমতো ওটমিল গুঁড়ো, পাকা কলা, সামান্য মধু বা গ্লিসারিন, ডিমের সাদা অংশের সঙ্গে মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করুন। গোসলের আগে দুই হাতে ভালো করে তা মাখুন। শুকিয়ে গেলে হাত ধুয়ে ফেলুন।
৩. নখের কিউটিকল নরম করতে কিউটিকল ক্রিম বা অয়েল ব্যবহার করুন। হালকা হাতে এক ফোঁটা অলিভ অয়েল নখের চারপাশে ম্যাসাজ করে নিন। এতে নখের সৌন্দর্য বাড়বে।
৪. হাতের অতিরিক্ত শুষ্কতা দূর করতে পরিমাণ মতো সবেদা, কয়েক ফোঁটা মধু ও অলিভ অয়েল মিশিয়ে, হাতে ম্যাসাজ করুন। ১৫ মিনিট পর ধুয়ে নিন।
৫. শসার রস ত্বকের সুরক্ষায় ভালো কাজ দেয়। চায়ের লিকারের সঙ্গে শসার রস ও এক ফোঁটা কর্পূর মিশিয়ে ফ্রিজে রাখুন, যা হাতের টোনার হিসেবে কাজ করবে।
৬. অলিভ অয়েল ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। রাতে ঘুমানোর আগে ময়েশ্চারাইজার ছাড়া ক’ফোঁটা অলিভ অয়েল ব্যবহার করার সময়ে হাতের তালু, তালুর পেছন দিক, আঙুল ও কনুই পর্যন্ত ম্যাসাজ করুন। দেখবেন ত্বকের সতেজতা ঠিক থাকবে।