অনেক ক্ষেত্রে ইতিবাচক উদ্যোগ গ্রহণ করলেও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে বাস্তবায়নের ঝুঁকিতে আছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এজন্য সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণার আহ্বান জানিয়েছে টিআইবি। সংস্থাটির প্রধান ড. ইফতেখারুজ্জামান মনে করেন, রাষ্ট্র সংস্কার না করে নির্বাচন আয়োজন করলে জুলাই আন্দোলনের প্রত্যাশা পূরণ হবে না।
অন্তর্বর্তী সরকার এরইমধ্যে পার করেছে ১০০ দিন। সোমবার (১৮ নভেম্বর) সরকারের কার্যক্রম নিয়ে পর্যবেক্ষণ তুলে ধরে ট্রান্সপারেসি ইন্টারন্যাশনাল টিআইবি। রাজনৈতিক দল, প্রশাসনিক-প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার, দুর্নীতি রোধ, আইনের শাসন, আর্থিক খাতের ভূমিকাসহ আটটি বিষয়ের কর্মকাণ্ড উঠে আসে পর্যবেক্ষণে।
টিআইবি বলছে, রাষ্ট্র কাঠামো সংস্কারে ১০টি কমিশন গঠন করলেও সবগুলো কমিশন এখনো গতিশীল হয়নি। অন্যদিকে বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকলেও সরকারের গোয়েন্দা সংস্থা ও ব্যক্তি মালিকানা খাত এখনো সংস্কার আওতামুক্ত রয়েছে।
সংস্থাটি জানায়, সরকারের চলার পথে বহুমুখী চ্যালেঞ্জ ও ঝুঁকি রয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর অর্পিত দায়িত্ব বাস্তবায়নে যথাসময়ে প্রয়োজনীয় কৌশল ও রোডম্যাপ প্রণয়নের সুযোগ নেওয়া হয়নি, যা এখনও অনুপস্থিত।
বিচার ও সরকারের উপদেষ্টা নিয়োগ নিয়ে বিতর্ক আছে উল্লেখ করে টিআইবি থেকে বলা হয়, সরকারের সিদ্ধান্ত গ্রহণে অ্যাডহক প্রবণতা, উপদেষ্টা পরিষদ গঠন ও দায়িত্ব বণ্টনসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত বিতর্কিত হয়েছে।
আর্থিক খাতের বিভিন্ন উদ্যোগ এবং প্রবাসীদের রেমিট্যান্স প্রবাহ ইতিবাচক ভূমিকা রাখছে। তবে দ্রব্যমূল্যের নিয়ন্ত্রণ করার উদ্যোগ এখনো সফল হয়নি বলেও পর্যবেক্ষণ তাদের।
সরকার পতনের পর টিআইবির পর্যবেক্ষণ, বিএনপি দলের মধ্যে গণতান্ত্রিক চর্চা না করে দখলবাজি-চাঁদাবাজিতে লিপ্ত হয়েছে। ধর্মভিত্তিক প্রভাব বেড়েছে জামায়াতে ইসলামীসহ সমমনা দলগুলোর। অন্যদিকে দায় স্বীকার প্রশ্নে নিশ্চুপ রয়েছে আওয়ামী লীগ।
ঐতিহাসিক অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর রাজনৈতিক, কূটনৈতিক ও কৌশলগত পরাজয় ভারত মেনে নিতে পারেনি বলেও পর্যবেক্ষণ টিআইবির।