বর্তমান সময়ে কম বয়সেই পিছু নিচ্ছে বাতের ব্যথা। শরীরের একাধিক জয়েন্টে হচ্ছে প্রদাহ ও তীব্র ব্যথা-বেদনা। এমনকি কিছু ক্ষেত্রে পরিস্থিতি এমন জায়গায় চলে যাচ্ছে, সামান্য হাঁটাচলা করতেও বেগ পেতে হচ্ছে। আর মাথায় রাখতে হবে যে, শীতের দিনে এমনিতেই গাঁটের ব্যথা বাড়ে। তার ওপর যদি উল্টাপাল্টা খাবার খান, তা হলে সমস্যা আরও বাড়তে পারে।
চলুন জেনে নেই এমন কিছু খাবার সম্পর্কে, যেগুলো বাতের ব্যথা বৃদ্ধি করে।
পাস্তা খেলেই বিপদ
আপনি কি পাস্তা খেতে পছন্দ করেন? তা হলে দ্রুত সমঝে যেতে হবে। কারণ, এই খাবারে রয়েছে গ্লুটেনের ভাণ্ডার। আর গ্লুটেন জয়েন্টের সমস্যা বাড়াতে পারে। বিশেষত, যাদের রিউম্যাটয়েড আর্থ্রাইটিস রয়েছে, তাদের সমস্যার আশঙ্কা সব থেকে বেশি। তাই ভুলেও গাঁটের ব্যথা থাকলে পাস্তা খাবেন না। তা হলেই সমস্যাকে কাবু করে ফেলতে পারবেন।
হ্যামবার্গারও বাড়ায় সমস্যা
অত্যন্ত সুস্বাদু হ্যামবার্গারও শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। এতে রয়েছে ফ্যাটের ভাণ্ডার। সেই সঙ্গে এর ক্যালোরি ভ্যালুও খুব বেশি। তাই সুস্থ থাকতে চাইলে এমনিতেই এই খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। বিশেষত, যদি আর্থ্রাইটিস থাকে, তা হলে সাবধান হওয়া বিশেষ ভাবে জরুরি। কারণ, এতে মজুত কিছু রাসায়নিক জয়েন্টের প্রদাহ বাড়ায়। যার ফলে ব্যথা, বেদনা এক ধাক্কায় অনেকটাই বেড়ে যায়। তাই ঝটপট এই ফাস্টফুডের সঙ্গে বিচ্ছেদ করে নিন।
টমেটো খেলেও বিপদ
অত্যন্ত উপকারী একটি সবজি হলো টমেটো। এতে রয়েছে ভিটামিন ও খনিজের ভাণ্ডার। সেইসঙ্গে এতে নানা উপকারী অ্যান্টিঅক্সিডেন্টও রয়েছে। তাই সুস্থ-সবল জীবন কাটাতে চাইলে নিয়মিত টোম্যাটো খেতেই হবে। তবে এমন উপকারী একটি সবজি আবার বাত ব্যথার রোগীদের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। এতে ইউরিক অ্যাসিড বাড়তে পারে। তাই চেষ্টা করুন যেভাবেই হোক টমেটো এড়িয়ে চলার।
মিষ্টি খাওয়া চলবে না
আমাদের মধ্যে অনেকেই মিষ্টির পোকা। এই খাবার না খেলে তাদের দিন কাটে না। তবে সত্যি বলতে, নিয়মিত মিষ্টি খাওয়া একবারেই উচিত নয়। এই ভুলটা করলে শরীর ও স্বাস্থ্যের হাল বিগড়ে যেতে পারে। এমনকি বাড়তে পারে প্রদাহ। যার জন্য আর্থ্রাইটিসের ব্যথায় ভুগতে হয়। তবে শুধু মিষ্টি নয়, এর পাশাপাশি যে কোনও ধরনের মিষ্টি পানীয় খেলেও এই একই সমস্যা হতে পারে।
মাখন এবং মার্জারিনে বিপদ
এগুলোতে রয়েছে অ্যাডভান্সড গ্লাইকেশন এন্ড প্রোডাক্ট বা এজিইস। আর এই উপাদান শরীরে প্রদাহ বাড়াতে পারে। যার ফলে বাতের সমস্যা বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই চেষ্টা করুন মাখন এবং মার্জারিন এড়িয়ে চলার।
যা খেলে উপকার পাবেন
মৌসুমি সবুজ শাক-সবজি খান। পাতে রাখুন ফল। এর পাশাপাশি নিয়মিত ৩ লিটার পানি পান করা জরুরি। ব্যস, এই নিয়মটা মেনে চললেই শরীর ও স্বাস্থ্যের হাল ফিরবে।