কিশোরগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীরদের বিক্ষোভ মিছিলে হামলা চালিয়ে আহত করা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে করা মামলায় জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের জ্যৈষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. ওয়ারেসুজ্জামান টুটুলকে (৪৭) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) রাতে জেলা শহরের নগুয়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাব-১৪ সিপিসি-২ কিশোরগঞ্জ ক্যাম্পের (ভারপ্রাপ্ত) কোম্পানি কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এটিএম আমিনুল ইসলাম শুক্রবার রাতে করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
গ্রেপ্তার টুটুলের বাড়ি জেলা শহরের নগুয়া এলাকায়। মামলার বাদী সাজ্জাদ হোসেন কিশোরগঞ্জ জেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, গত ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও বিএনপির নেতাকর্মীদের একটি বিক্ষোভ মিছিল জেলা শহরের খড়মপট্টি এলাকা দিয়ে যাচ্ছিল। এ সময় তাদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। কিশোরগঞ্জ-১ (সদর ও হোসেনপুর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দা জাকিয়া নূর লিপিসহ দলের অন্য নেতাদের হুকুমে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা রামদা, আগ্নেয়াস্ত্র, লাঠিসোঁটা ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে ছাত্র-জনতার ওপর হামলা চালায়। এ সময় বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। তাছাড়া একই সময়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের গুলিতে ও ধারালো অস্ত্রের আঘাতে বাদী সাজ্জাদ হোসেনসহ অনেকে আহত হন।
এ ঘটনায় জেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. সাজ্জাদ হোসেন বাদী হয়ে গত ৭ সেপ্টেম্বর কিশোরগঞ্জ-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) সৈয়দা জাকিয়া নূর লিপি, সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আওলাদ মিয়াসহ আওয়ামী লীগের ৬২ নেতাকর্মীর নামে ও অজ্ঞাত ২০০ থেকে ৩০০ জনকে আসামি করে মামলা করেন।
কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আমিনুল ইসলাম জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার অভিযোগে মামলা হলে টুটুল পালাতক ছিলেন। মামলার তদন্ত সূত্রে আসামি টুটুলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অবস্থান নিশ্চিত করে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নিতে আসামিকে কিশোরগঞ্জ মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।