ডিসেম্বর ২৩, ২০২৪

সোশ্যাল মিডিয়া রিউমার এবং মিথ্যা তথ্য দিয়ে আমাদের বিভিন্নভাবে হয়রানি ও অপমান করা হচ্ছে। এগুলো আমাদের কাজে একটু বাধা দেয়। তারপরেও আমরা দমে যাচ্ছি না বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) রাজধানীর কাকরাইলের আইডিইবি ভবনে অর্থসূচক ক্যাপিটাল মার্কেট এক্সপো-২০২৩ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসবে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, সময় ও মানবসম্পদের কারণে পুঁজিবাজারের এত সুপারভিশন করা সম্ভব হয় না। তারপরেও আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি ডাবল গতিতে কাজ করার। তারপরেও আমাদের কিছু ভুল ত্রুটি হতেই পারে, যেহেতু আমরা কাজ করার চেষ্টা করছি। চুপ করে আমরা বসে থাকলে আপনারা আমাদের কোনও ভুলই পাবেন না।

শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেন, আমাদের পুঁজিবাজার শিক্ষার গুরুত্বটা অনেক বেশি। এই বাজারে বুদ্ধিমান লোক বুদ্ধি খাটিয়ে কেনাবেচা করে। যিনি বুদ্ধি না খাটিয়ে কেনাবেচা করেন তার অর্থ-সম্পদ বুদ্ধিমান লোকের কাছে চলে যাবে। সুতরাং আমরা বার বার বলছি, পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ শিক্ষার গুরুত্ব অনেক। বিনিয়োগের উপর আপনার যদি শিক্ষা না থাকে তাহলে সম্পদ ভুল জায়গায় বিনিয়োগ করে ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

তিনি বলেন, আমরা নতুন নতুন প্রোডাক্ট পুঁজিবাজারে নিয়ে আসছি। এটা বিশ্বের সকল পুঁজিবাজারে রয়েছে। সেটার ব্যাপারে আমাদের উদ্যোগকে অনেক সময় বাধা দেওয়া হচ্ছে। আমি মনি করি একটি পূর্ণাঙ্গ পুঁজিবাজারের জন্য যা যা প্রয়োজন তা থেকে আমরা অনেক পিছিয়ে আছি। সেটা আমাদের পুঁজিবাজারে আনা দরকার এবং সেটা আমরা আনব। আর কাজ করতে গেলে আমাদের ভুল-ত্রুটি হোক বা না হোক, সমালোচনা হবেই। তারপরেও এর রেজাল্ট আপনারা দুই থেকে তিন বছর পর পাবেন। তখন পুঁজিবাজারে শিক্ষিত বিনিয়োগকারী আসলে রেজাল্ট সব থেকে ভালো পাওয়া যাবে।

অনুষ্ঠানে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) চেয়ারম্যান ইউনুসুর রহমান বলেন, করোনা মহামারি ও ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে আমরা কিছুটা ধাক্কা খেয়েছি। তবে পৃথিবীর অন্যান্য দেশের তুলনায় আমরা ক্ষতিগ্রস্ত কম হয়েছি। পুঁজিবাজার ৯০ সাল থেকে ওপরের দিকেই যাচ্ছে মাঝে কিছু আপডাউন হয়েছে, তবে এই সময়ের মধ্যে অনেক কাজ হয়েছে, সুতরাং আমাদের হতাশা কাটিয়ে উঠতে হবে; খুব শিগগিরই আমরা ভালোর দিকে যাবো বলে তিনি উল্লেখ করেন।

চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই)চেয়ারম্যান আসিফ ইব্রাহীম বলেন, পুঁজিবাজার সবসময় উত্থান ও পতনের মধ্য দিয়ে যায়। এটা একটি মার্কেট সেটা বুঝেই আমাদের বিনিয়োগ করতে হবে। আমাদের হতাশ হলে চলবে না, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আমরা এগিয়ে চলেছি। আমাদের স্বপ্ন পূরণের মূল লক্ষ্য হবে পুঁজিবাজার।

বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) প্রেসিডেন্ট ছায়েদুর রহমান বলেন, পুঁজিবাজার বিনিয়োগের জায়গা দৈনিক ব্যবসার জায়গা নয় এখান বুঝে শুনে দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগ করলে অবশ্যই রিটার্ন পাবেন। আমরা মনে করি পুঁজিবাজারের ক্রান্তিকাল কাটাতে বিএসইসি একার পক্ষে সম্ভব না। এজন্য বাংলাদেশ ব্যাংক ও এনবিআরসহ সকলে সম্মিলিত প্রচেষ্টার পুঁজিবাজার ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব।

অনুষ্ঠানে ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ডিবিএ) প্রেসিডেন্ট রিচার্ড ডি রোজারিও, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য সচিব ও ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ডের (সিএমএসএফ) চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমানের উপস্থিতিতে সভাপতিত্ব করেন অর্থসূচক সম্পাদক ও ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্ট ফোরামের (সিএমজেএফ) সভাপতি জিয়াউর রহমান।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...