ডিসেম্বর ২৩, ২০২৪

হাইপারসনিক ক্রুজ মিসাইল দিয়ে সজ্জিত একটি ফ্রিগেট মোতায়েন করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। শক্তিশালী রুশ এই যুদ্ধজাহাজটি আটলান্টিক এবং ভারত মহাসাগরের দিকে তৎপরতা চালাবে।

মূলত ইউক্রেনে চলমান যুদ্ধ অব্যাহত থাকার পাশাপাশি আরও উত্তপ্ত হওয়ার মাঝেই সামরিক শক্তি প্রদর্শনে মনোযোগী হচ্ছেন রুশ প্রেসিডেন্ট। বুধবার (৪ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হাইপারসনিক ক্রুজ মিসাইল দিয়ে সজ্জিত আটলান্টিক এবং ভারত মহাসাগরের দিকে মোতায়েন করা ওই রুশ যুদ্ধজাহাজের নাম অ্যাডমিরাল গোর্শকভ। বুধবার প্রেসিডেন্ট পুতিন এই যুদ্ধজাহাজের মোতায়েন উপলক্ষে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে একটি অনুষ্ঠানে অংশ নেন।

রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু এবং ফ্রিগেটের কমান্ডার ইগর ক্রোখমালও এতে অংশ নিয়েছিলেন। অনুষ্ঠানে অ্যাডমিরাল গোর্শকভকে যুদ্ধ পরিষেবা শুরু করার নির্দেশ দেন প্রেসিডেন্ট পুতিন।

এর আগে তিনি বলেন, ‘জাহাজটি অত্যাধুনিক হাইপারসনিক মিসাইল সিস্টেম ‘জিরকন’-এ সজ্জিত। মাতৃভূমির কল্যাণের জন্য আমি ক্রুদের সাফল্য কামনা করতে চাই।’

রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু বলেন, ফ্রিগেটটি আটলান্টিক ও ভারত মহাসাগর এবং ভূমধ্যসাগরে অবস্থান করবে। তিনি আরও বলেন, যুদ্ধজাহাজটি ‘সমুদ্রে ও স্থলে শত্রুর বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট এবং শক্তিশালী হামলা’ চালাতে সক্ষম।

তার দাবি, যুদ্ধজাহাজে থাকা হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রগুলো যে কোনও ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে অতিক্রম করতে পারে এবং এর পাল্লা ১ হাজার কিলোমিটারেরও (৬২০ মাইল) বেশি।

হাইপারসনিক অস্ত্র মূলত শব্দের পাঁচ গুণেরও বেশি গতিতে ছুটতে পারে। রাশিয়া গত বছর যুদ্ধজাহাজ এবং সাবমেরিন থেকে জিরকন ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করেছে। কারণ যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনের মতো দেশগুলোর সাথে পাল্লা দিয়ে হাইপারসনিক অস্ত্র তৈরির প্রতিযোগিতা করছে মস্কো।

সের্গেই শোইগু বলেন, ‘রাশিয়ার প্রতি হুমকি মোকাবিলা এবং আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় বন্ধুত্বপূর্ণ দেশগুলোর সঙ্গে একত্রে সহায়তামূলক কাজ করাই হবে এই মিশনের মূল লক্ষ্য।’

উল্লেখ্য, ২০২০ সালের অক্টোবরে প্রথমবারের মতো জিরকন ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালানো হয়েছিল, সেই সময় এই অস্ত্রের পরীক্ষার প্রশংসা করেছিলেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। পরে একই রণতরী এবং সাবমেরিন থেকে অপ্রতিরোধ্য এই হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের আরও পরীক্ষা চালানো হয়।

ইউক্রেনে গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে আক্রমণ শুরুর পর বর্তমানে দেশটির দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে ব্যাপক লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে রুশ সৈন্যরা। এই অস্ত্রটি শব্দের গতির চেয়ে পাঁচ থেকে দশগুণ বেশি গতিতে ছুটতে পারে। একইসঙ্গে এটি সর্বোচ্চ প্রায় ১ হাজার কিলোমিটার দূরের লক্ষ্য ভেদ করতে পারে।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...