ট্রেজারি বিল ও বন্ডের মতো সরকারি সিকিউরিটিজ কেনার ক্ষেত্রে গ্রাহকদের কাছ থেকে ফি ও চার্জ নেওয়ার সর্বোচ্চ সীমা বেঁধে দিয়েছে আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংক।
এখন থেকে সেবা দেওয়ার বিনিময়ে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো গ্রাহকদের কাছ থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্ধারিত হারে ফি বা চার্জ নিতে পারবে।
সম্প্রতি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা পাঠিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, গ্রাহক সেবা প্রদানকারী ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ বিবেচনা করে বিভিন্ন সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে ফি বা চার্জ নির্ধারণ করা হয়েছে।
এতে বলা হয়, বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক স্টক এক্সচেঞ্জের বিনিয়োগকারীদের জন্য খোলা বিপিআইডি ছাড়া অন্য বিপিআইডি খোলার বিনিময়ে ব্যক্তি বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে সর্বোচ্চ ২০০ টাকা এবং অব্যক্তিক বা প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে সর্বোচ্চ ৫০০ টাকা ফি নেওয়া যাবে।
প্রাইমারি অকশনে অংশগ্রহণের মাধ্যমে প্রতিটি সফল বিডের ক্ষেত্রে ব্যক্তি বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে সর্বোচ্চ ২০০ টাকা এবং অব্যক্তিক বা প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে সর্বোচ্চ ৫০০ টাকা ফি নেওয়া যাবে। তবে স্টক এক্সচেঞ্জের ব্রোকারেজ কর্তৃক অমনিবাস বিপিআইডির মাধ্যমে বিড দাখিলের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ২০০ টাকা ফি বা চার্জ নেওয়া যাবে।
ব্যক্তি বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে সেকেন্ডারি ট্রেডিংয়ের জন্য প্রতি লেনদেন সর্বোচ্চ ফি নেওয়া যাবে ১০০ টাকা। এই সেবার জন্য অব্যক্তিক বা প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকেও সর্বোচ্চ ১০০ টাকা নেওয়া যাবে।
একটি পঞ্জিকাবর্ষে বিপিআইডি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ব্যক্তি বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে সর্বোচ্চ ২০০ টাকা চার্জ নেওয়া যাবে। এ ক্ষেত্রে অব্যক্তিক বা প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে নেওয়া যাবে সর্বোচ্চ ৫০০ টাকা।
এছাড়া আয়কর সনদ দেওয়ার ক্ষেত্রে ব্যক্তি বিনিয়োগকারীদেরকে বছরে একটি সনদ বিনা মূল্যে দিতে হবে। তবে পরবর্তী অতিরিক্ত প্রতিটি সনদের জন্য সর্বোচ্চ ২০০ টাকা চার্জ করা যাবে। অন্যদিকে অব্যক্তিক বা প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদেরকে ব্যাংক বছরে একটি সনদ বিনা মূল্যে দেবে। পরবর্তী অতিরিক্ত প্রতিটি সনদের জন্য সর্বোচ্চ ৫০০ টাকা চার্জ করা যাবে। এই ফি ও চার্জের মধ্যে মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।