অক্টোবর ১০, ২০২৪

টানা দুই দিন রোদ থাকায় শেরপুরের বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। ভারতের মেঘালয় রাজ্য থেকে নেমে আসা পাহাড়ি নদী ভোগাই ও চেল্লাখালীতেও পানি অনেকটাই কমে গেছে। তবে পানি ধীরগতিতে কমায় নিম্নাঞ্চলে পানিবন্দি অবস্থায় দুর্ভোগ পোহাচ্ছে হাজারো মানুষ। বন্যা পরবর্তী সময়ে ঘুরে দাঁড়ানো নিয়ে দুশ্চিন্তায় দিন কাটছে অনেক বাসিন্দারা। উজানে পানি কমার সাথে সাথে বের হয়ে উঠছে বিধ্বস্ত ঘরবাড়ি ও ক্ষতচিহ্ন। দেখা দিয়েছে খাদ্য ও সুপেয় পানির তীব্র সংকট। বন্যায় এখন পর্যন্ত ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে।

কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, জেলার কৃষি খাতে ৬শ’ কোটি টাকা ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। ভেসে গেছে প্রায় ৭০ কোটি টাকার মাছ।

সেনাবাহিনী, বিজিবি, ফায়ার সার্ভিসসহ উদ্ধার ও ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করতে এগিয়ে এসেছে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনসহ রাজনৈতিক সংগঠনগুলো।

শেরপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তথ্য অনুযায়ী, গতকাল বুধবার রাত ৯টার দিকে ভোগাই নদের পানি বিপদসীমার ১৯৮ সেন্টিমিটার এবং চেল্লাখালী নদীর পানি বিপদসীমার ১০২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।

জেলা প্রশাসক বলেন, পুনর্বাসনসহ সামগ্রীক বিষয়ে সরকারের সহায়তা চেয়ে ত্রাণ মন্ত্রাণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *