অক্টোবর ৭, ২০২৪

আবারো পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। তবে এদিন বিনিয়োগকারীরা বিএসইসি চেয়ারম্যানের পদত্যাগ দাবি না করে সহযোগীতার হাত বাড়াতে চেয়েছেন। একই সঙ্গে তারা পুঁজিবাজারের দীর্ঘমেয়াদী স্থিতিশীলতা আনয়নের লক্ষ্যে ‘রোডম্যাপ’ চেয়েছেন বিনিয়োগকারীরা।

সোমবার (৭ অক্টোবর) বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে বিএসইসির সামনে জড়ো হতে থাকেন বিনিয়োগকারীরা। পরে ৪টার দিকে তারা মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন। এ সময় বিএসইসির নিরাপত্তা ও পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

মানববন্ধন কর্মসূচিতে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের পক্ষে মোহাম্মদ মুন্না বলেন, আজকেও পুঁজিবারের সূচক নেতিবাচক অবস্থানে রয়েছে। তবে আমরা আজকে বিএসইসির সামনে নেতিবচক সূচক হওয়ার কারণে আসিনি। আমরা এসেছি পুঁজিবারকে একটা দীর্ঘমেয়াদী স্ট্রাকচারের দাঁক করানোর জন্য। আমরা বিএসইসিকে বাঁধা দিতে নয়, বরং সহযোগীত করতে চাই। তবে আমরা বিএসইসির চেয়ারম্যানের পদত্যাগের দাবি থেকে ফিরে আসিনি। তবে এ মুহূর্তে আমরা পুঁজিবাজারের স্বার্থে সহযোগীতার হাত বাড়াতে চাই। এ জন্য আমারা নতুন কর্মসূচি নিয়ে হাজির হয়েছি। আগামী রোববার (১৩ অক্টোবর) পর্যন্ত আমরা বিএসইসিকে হোমওয়ার্ক করার জন্য সময় দিতে চাই। ওই সময়ের মধ্যে তারা কোন কোন বিষয়ে কাজ করবে সেই ‘রোডম্যাপ’ নির্ধারণ করবে। এর পর সেটা আমাদেরকে জানাবে। সেটা স্বল্প মেয়াদ (এক মাস), মধ্য মেয়াদ (তিন থেকে ছয় মাস) ও দীর্ঘ মেয়াদের (এক থেকে পাঁচ বছর) হতে পারে।

তিনি আরো বলেন, গত বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) আমাদের আন্দোলন খুব জোড়ালো হয়েছিল। এরপর একটি গ্রুপ খুব সকালের এসে লিখিতভাবে জানিয়ে গেছে যে, আমরা না-কি আন্দোলন স্থগিত করেছি। তাই স্পষ্ট করে বলতে চাই যে, আমরা আন্দোলন স্থগিত করিনি। আমরা লুকিয়ে কোনো কাজ করব না।

এ আগে গত রোববার (৬ অক্টোবর) দুপুর ১২টা থেকে বিএসইসির সামনে চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের পদত্যাগ দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন বিনিয়োগকারীরা। পরে বিকেল পৌনে ৪টার দিকে একদফা দাবিতে এবার মতিঝিলের দিলকুশা এলাকায় সাধারণ বিনিয়োগকারীরা মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন।

এর আগে বিএসইসি চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ পদত্যাগ দাবিতে বুধবার (২ অক্টোবর) বিকেলের বিএসইসির উদ্দেশে লংমার্চ কর্মসূচির ঘোষণা দেন বিনিয়োগকারীরা। সে অনুযায়ী পরের দিন বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) মতিঝিলে ডিএসইর পুরাতন ভবনের সামনে দ্বিতীয় দিনের মতো মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন বিনিয়োগকারীরা। পরে সকাল সাড়ে ১১টার দিকে শতাধিক বিনিয়োগকারী লংমার্চ কর্মসূচি শুরু করেন। পরবর্তীতে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিএসইসির সামনে বিনিয়োগকারীরা মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি শুরু করেন। এরপর সন্ধ্যা ৬টার দিকে বিএসইসি চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদকে শনিবার (৫ অক্টোবর) পর্যন্ত পদত্যাগ করার আল্টিমেটাম দেন বিনিয়োগকারীরা।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *