সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২৪

পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে গত ছয়দিন ধরে চলতে থাকা সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় মৃতের সংখ্যা ৩৭ জনে পৌঁছেছে। দাঙ্গার এসব ঘটনায় আহত হয়েছে আরও দেড় শতাধিক লোক। পেশোয়ারের স্থানীয় কর্মকর্তারা আজ শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) এই তথ্য জানিয়েছেন।

এক সময় স্বায়ত্বশাসিত অঞ্চল হিসেবে পরিচিত ছিল কুরাম জেলা এবং এখানে মুসলিম শিয়া ও সুন্নি সম্প্রদায়ের মধ্যে শত্রুতার রক্তাক্ত ইতিহাস রয়েছে। কয়েক বছরের দাঙ্গায় এখানে কয়েকশ মানুষের মৃত্যুর ইতিহাসও রয়েছে।

এ বছরের জুলাই মাসে এই দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে এর আগে দাঙ্গায় ৩৫ জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটে যা পরে জিরগা’র (উপজাতীয় কাউন্সিল) মধ্যস্থতায় অস্ত্রবিরতির মাধ্যমে শেষও হয়েছিল। এরপর থেকে তাদের মধ্যে নতুন করে অস্ত্র বিরতির জন্য চেষ্টা চালিয়ে আসছিলেন কর্মকর্তারা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কুরাম জেলা প্রশাসনের একজন কর্মকর্তা জানান, জেলার ১০টি এলাকায় ভারী অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায় ওই দুই সম্প্রদায়ের লোকেরা। এখানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী শিয়া ও সুন্নি গোত্রের লোকদের মধ্যে অস্ত্রবিরতি চুক্তি করতে ব্যর্থ হয়। ওই কর্মকর্তা আরও জানান, একটি জমি নিয়ে বিরোধের ঘটনা পুরো দুই সম্প্রদায়কে সংঘাতে জড়িয়ে ফেলে। নিজেদের মধ্যে অটোমেটিক রাইফেল, সেমি-অটোমেটিক রাইফেল এমনকি মর্টার শেল নিয়ে তারা সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। তিনি জানান সংঘাতে প্রাণ হারিয়েছে ৩৭ জন আর আহত হয়েছে ১৫৩ জন।

এছাড়া প্রাদেশিক রাজধানী পেশোয়ারের একজন নিরাপত্তা কর্মকর্তা জানান, সংঘর্ষের সময় ২৮টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

পাকিস্তানে উপজাতিগত ও পারিবারিক সংঘাত একটি সাধারণ ঘটনা। সুন্নি মুসলিম অধ্যুষিত দেশটিতে শিয়া সম্প্রদায়ের লোকেরা নানা ধরনের বঞ্চনা ও সহিংসতার শিকার হয়।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *