সেপ্টেম্বর ২১, ২০২৪

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তিন দিনের যুক্তরাষ্ট্র সফরে শনিবার সকালে যাত্রা করেছেন। তার এ সফরের মূল আলোচ্য বিষয়গুলো হলো- কোয়াড নেতাদের সম্মেলন, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ভাষণ এবং বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক বৈঠক।

মোদির এ সফরে যেসব এজেন্ডা রয়েছে, তার ১০টি মূল পয়েন্ট নিচে তুলে ধরা হলো:

ভারতের প্রধানমন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্রের ফিলাডেলফিয়ায় স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় পৌঁছাবেন এবং তারপর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নিজ শহর উইলমিংটনের ডেলাওয়্যারে তাদের দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হবে। সেখানে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং শান্তি প্রক্রিয়া সম্পর্কেও আলোচনা হতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে ভারত-মার্কিন সম্পর্ক আরও গভীর করার নতুন পথ চিহ্নিত করার আশা প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি।

ভারত-যুক্তরাষ্ট্র মহাকাশ সহযোগিতার ঘোষণা আসতে পারে। যেখানে গ্রুপ ক্যাপ্টেন শুভাংশু শুক্লা অ্যাক্সিয়ম-৪ মিশনের অংশ হিসেবে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়াও, ৩১টি প্রিডেটর ড্রোন কেনার চুক্তি নিয়ে আলোচনা হবে।

কোয়াড সম্মেলনে মোদি, বাইডেন, অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ এবং জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা যোগ দেবেন। চীনের আক্রমণাত্মক সামরিক কার্যকলাপ এবং তাইওয়ান প্রণালীর উত্তেজনা এ সম্মেলনের আলোচ্য বিষয় হতে পারে।

সফরের দ্বিতীয় দিনে মোদি নিউইয়র্কে ভারতীয় সম্প্রদায়ের সঙ্গে এক সভায় ভাষণ দেবেন এবং শীর্ষ কোম্পানির সিইওদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, কোয়ান্টাম কম্পিউটিং, বায়োটেকনোলজি এবং সেমিকন্ডাক্টরের ক্ষেত্রে সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা হবে।

যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয় সম্প্রদায়ের সঙ্গে মোদির সংযোগ স্থাপন এবং গুরুত্বপূর্ণ আমেরিকান ব্যবসায়িক নেতাদের সঙ্গে তার আলোচনা ভারত-যুক্তরাষ্ট্রের অংশীদারিত্বকে আরও শক্তিশালী করবে।

তৃতীয় দিনে প্রধানমন্ত্রী মোদি জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ‘Summit of the Future’ শীর্ষ সম্মেলনে ভাষণ দেবেন। এ সম্মেলনের থিম হলো ‘Multilateral Solutions for a Better Tomorrow’।

জাতিসংঘ সম্মেলনের পাশাপাশি কিছু অন্যান্য বিশ্ব নেতাদের সঙ্গেও নরেন্দ্র মোদির দ্বিপাক্ষিক আলোচনা করার সম্ভাবনা রয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তিনি প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে দেখা করবেন। তবে ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ বৈঠক নিশ্চিত করেনি।

নরেন্দ্র মোদি তার এ সফরের প্রাক্কালে কোয়াড সম্মেলনের গুরুত্বের ওপর জোর দিয়েছেন এবং ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য এ ফোরামের ভূমিকাকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

নরেন্দ্র মোদির এ সফর ভারত-মার্কিন সম্পর্কের উন্নয়ন এবং ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। সূত্র: এনডিটিভি

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *