ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) ডিপোজিটরি ফান্ডকে পুঁজিবাজার এক্সপ্রোজার লিমিটের আওতার বাহিরে রাখার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আইসিবির ক্রয় ক্ষমতা বৃদ্ধির করে পুঁজিবাজারকে গতিশীল করার লক্ষ্যে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ উদ্যোগ বাস্তবায়ন হলে প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকা পুঁজিবাজারে বিনিয়োগে করার সক্ষমতা ফিরে পাবে আইসিবি।
জানা গেছে, পুঁজিবাজারকে গতিশীল করার উদেশ্যে আইসিবির ক্রয় ক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে চলতি মাসের শেষ দিকে বাংলাদেশ সিকিউরিটিস এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তারুকদারের গুরুত্বপূর্ণ সভা অনুষ্ঠিত হবে।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রণ সংস্থা বিএসইসির একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, আইসিবির ডিপোজিটরি ফান্ডকে পুঁজিবাজার এক্সপ্রোজার লিমিটের আওতামুক্ত রাখার কাজ চলছে। এটা করা গেলে আইসিবি প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকা পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করার সক্ষমতা ফিরে পাবে। এ বিষয়ে এই মাসের শেষের দিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের সাথে গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষাতের কথা রয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আইসিবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আবুল হোসেন বলেন, ‘পুঁজিবাজারকে সংকটময় পরিস্থিতি থেকে উত্তোলনে বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের ডিপোজিট ফান্ডের থেকে অর্থ চেয়ে আমরা চিঠি দিয়েছি। অর্থমন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ ব্যাংকে এ বিষয়ে আমাদের নির্দেশনা দিচ্ছেন।’
উলেখ্য, রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে পুঁজিবাজারের পতন রোধে চলতি বছরের গত ২৮ জুলাই দ্বিতীয় দফায় নিয়ন্ত্রণ সংস্থা ফ্লোর প্রাইস বেঁধে দেয়। তবে গত ২১ ডিসেম্বর এক নির্দেশনায় শেয়ারবাজারের লেনদেনে গতি ফেরাতে তালিকাভুক্ত ১৬৯ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের সর্বনিম্ন মূল্যস্তর বা ফ্লোর প্রাইস তুলে ডাউন সার্কিট ১% করে দেওয়া হয়েছে। এমতা অবস্থায় রাষ্ট্রায়ত্ত বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি) ৬ হাজার কোটি টাকা পুঁজিবাজারে বিনিয়োগে করার সক্ষমতা ফিরে ফেলে পুঁজিবাজারে গতি সঞ্চালন হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল হোসেন (আইসিবি)।