নভেম্বর ২৮, ২০২৪

ইসলামী ব্যাংকের পর এস আলমের গ্রপের নিয়ন্ত্রণে থাকা সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসির (এসআইবিএল) পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দিয়ে পুনর্গঠন করা হয়েছে। রোববার বাংলাদেশ ব্যাংক ৫ সদস্যের নতুন পর্ষদ গঠন করেছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগের (বিআরপিডি) পরিচালক হারুন-অর-রশীদ স্বাক্ষরিত এক আদেশে এই সিদ্ধান্ত জানানো হয়।

আদেশে বলা হয, ব্যাংক-কোম্পানী আইন, ১৯৯১ (২০২৩ পর্যন্ত সংশোধিত) এর ধারা ৪৭ এর উপ-ধারা (১) এবং ধারা ৪৮ এর উপ-ধারা (১) এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসির পরিচালনা পর্ষদ ২৫ আগস্ট ২০২৪ তারিখের আদেশের মাধ্যমে অবিলম্বে কার্যকর করে বাতিল করা হয়েছে।

‘আমানতকারী ও ব্যাংকের স্বার্থ রক্ষার্থে এবং ব্যাংকিং সুশাসন নিশ্চিতকল্পে ও জনস্বার্থে ব্যাংক-কোম্পানি আইন, ১৯৯১ এর ৪৫ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসির পরিচালনা পর্ষদ নতুনভাবে গঠনের নিমিত্তে’ পাঁচজনকে নতুন পরিচালক/স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগ প্রদান করা হলো।

নবগঠিত পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরা হলেন- এসআইবিএলের উদ্যোক্তা শেয়ারহোল্ডার মেজর (অব.) ডা. রেজাউল হক, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক মাকসুদা বেগম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক ড. এম সাদিকুল ইসলাম, রূপালী ব্যাংক পিএলসির সাবেক উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মোরশেদ আলম খন্দকার ও চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট আনোয়ার হোসেন।

তাদের মধ্যে ডা. রেজাউল হককে পরিচালক এবং বাকিদের স্বতন্ত্র পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক ও একটি গোয়েন্দা সংস্থার সহায়তায় ২০১৭ সালে এসআইবিএল দখলে নেয় এস আলম গ্রুপ। এস আলমের নিয়ন্ত্রণে থাকা ৬ ব্যাংকের ঋণ বিতরণে গত ১৯ আগস্ট বিধিনিষেধ আরোপ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। এর মাধ্যমে টানা ১৬ বছরের আওয়ামী লীগের নজিরবিহীন দুঃশাসন ও স্বেচ্ছাচারিতার অবসান ঘটে। সরকার পরিবর্তনের পর এস আলম ঘনিষ্ঠরা গা-ঢাকা দিয়েছেন।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...