ডিসেম্বর ৪, ২০২৪

ঘন ঘন কফি খেয়ে মন চাঙা হলেও, ঝুঁকি বাড়ে হৃদরোগের। আর এই অভ্যাস শরীরের জন্য মোটেও ভালো নয়। এই অভ্যাসের কারণে অনিদ্রা, ডিহাইড্রেশন, মানসিক অবসাদের মতো নানা রকম সমস্যা দেখা দিতে পারে।

পরীক্ষার আগে রাত জেগে পড়াশোনা হোক কিংবা অফিসের কাজের মাঝে ক্লান্তি মেটাতে— অনেকেই ভরসা রাখেন এক কাপ কফির ওপর। শরীর চাঙ্গা করতে কফির কোনো বিকল্প নেই। মানসিক অবসাদে ভুগলেও অতিরিক্ত কফিও খেয়ে ফেলেন কেউ কেউ। এ অভ্যাস শরীরের পক্ষে মোটেও ভালো নয়। এ অভ্যাস ত্যাগ করা উচিত। কারণ অনিদ্রা আর ডিহাইড্রেশন—মানসিক অবসাদের মতো নানা রকম সমস্যা দেখা দিতে পারে।

বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলেছেন, যত ইচ্ছে কফি খাওয়া যায় না। কফির প্রধান উপাদান হলো ক্যাফেইন। কফির উপকারিতা পেতে, সঠিক পরিমাণে খেতে হবে। একজন সুস্থ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ ৪০০ মিলিগ্রাম পর্যন্ত কফি খেতেই পারেন। এক কাপ কফিতে প্রায় ৭০ থেকে ১৪০ মিলিগ্রাম ক্যাফিন থাকে। কফি খাওয়ার সময় এই পরিমাণটা ভুলে গেলে চলবে না। এক কাপ কফিতে কী পরিমাণ কফি দিচ্ছেন তার ওপর নির্ভর করে দিনে ৪-৫ কাপের বেশি কফি না খাওয়াই ভালো।
প্রয়োজনের অতিরিক্ত কফি খেলে যা হতে পারে—

১. বেশি কফি খেলে আপনি নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়বেন। নির্দিষ্ট সময় অন্তর অন্তর কফি না পেলে আপনার মেজাজ খারাপ হতে থাকে। মানসিক অবসাদ আসতে পারে।

২. ক্যাফিন প্রভাব ফেলে হৃদ্যন্ত্রেও। এর প্রভাবে হৃদস্পন্দন বেড়ে যায়। এমনকি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে না।

৩. প্রচুর পরিমাণে যারা কফি খান, তাদের অনেকের ঘুম কমে যায়। ফলে মস্তিষ্কের কাজও ব্যাহত হয়। ঘুমের ঘাটতি অন্যান্য আরও অনেক শারীরিক সমস্যা ডেকে আনে। তাই সুস্থ থাকতে কফি খাওয়ার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখা প্রয়োজন।

কফির বদলে শরীর চাঙা রাখতে যা খাওয়া উচিত—

১. লেবু পানি। ২. মাচা টি। ৩. মসলা দুধ (আদা, দারুচিনি, কাঁচাহলুদ ও গোলমরিচ মেশানো দুধ)। ৪. ডার্ক চকোলেট মিল্কশেক। ৫. অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার মেশানো পানি।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...