আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দায়িত্ব নিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। সরকারের বিভিন্ন সংস্থায় সংস্কার কার্যক্রম শুরু করেছে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন এই সরকার। অন্যসব ক্ষেত্রের মতো ক্রীড়াঙ্গনেও সংস্কারের জোর দাবি উঠেছে। নতুন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সে লক্ষ্যে কাজ শুরু করবেন বলেই আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে এর আগেই সরকারকে একটি অনুরোধ করেছে দেশের ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)।
বাফুফের সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন তুষার গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপে সরকারকে উদ্দেশ করে বলেছেন, ‘অনেকেই বলছেন, এখানে (বাফুফে) রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ হলে তবেই শুধু সাসপেন্ড হবে। আসলে কিন্তু তা না। রাজনৈতিক ব্যাপারটা একটা জায়গা। অন্য আরেকটা জায়গা হচ্ছে, বাফুফেকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে হবে। তৃতীয় পক্ষ এখানে হস্তক্ষেপ করতে পারবে না। এই ব্যাপারটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, যা কেউ বলছে না। ফিফা সবসময় আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছে, খোঁজ-খবর নেয়।’
বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফার নিয়ম অনুযায়ী, ফুটবল ফেডারেশনে কোনো তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ চলবে না। এমনটা হলেই সঙ্গে সঙ্গে বিবৃতির মাধ্যমে সে দেশের সদস্যপদ স্থগিত করে দেয় তারা।
নতুন সরকারকে এই বিষয়টি মনে করিয়ে দিয়ে তুষার যোগ করেন, ‘সবাই ফুটবলকে ভালোবাসে। তাই আমি বলবো, বাফুফের ওপর কোনোরকম হস্তক্ষেপ যেন না আসে, বাফুফেকে তার নিজস্ব গতিতে চলতে দেয়। আগামী ২৬ অক্টোবর আমাদের নির্বাচন। সেখানে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় সব সুযোগ সামনে রয়েছে। তো কারো কোনো দাবি থাকলে তারা আসুক, নির্বাচন করুক, গণতান্ত্রিকভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করুক।’
প্রসঙ্গত, দীর্ঘ সময় ধরে বাফুফে প্রধানের দায়িত্ব রয়েছেন সাবেক ফুটবলার কাজী সালাহউদ্দিন। এছাড়া বাফুফের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন পদে এমন অনেকেই রয়েছেন যারা আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। এছাড়া বাফুফের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে দুর্নীতির অভিযোগও উঠেছে। তাই ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর বাফুফের সংস্কারেরও দাবি উঠেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতেই সরকারের উদ্দেশে ওই আহ্বান করেছেন বাফুফের সাধারণ সম্পাদক।