হতশ্রী ব্যাটিংয়ের পর বল হাতেও ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে বাংলাদেশ নারী দল। ভারতকে মাত্র ৮১ রানের লক্ষ্য দেয়ার পর একের পর এক সুযোগ হাতছাড়া করেছে নিগার সুলতানা জ্যোতিরা। এতে ১০ উইকেটের লজ্জার হারে এশিয়া কাপ থেকে বিদায় নিয়েছে টাইগ্রেসরা। আর ভারত উঠে গেছে এই আসরের ফাইনালে। এশিয়া কাপের ইতিহাসে প্রত্যেক বার ফাইনাল খেলেছে ভারতের নারী দল। সেই ধারা বজায় রাখলেন হারমনপ্রীত কৌরেরা। অপর সেমিফাইনালে শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানের জয়ী দলের বিপক্ষে রোববার ফাইনাল খেলবে ভারত।
শুক্রবার ডাম্বুলায় নারী এশিয়া কাপ ক্রিকেটের প্রথম সেমিফাইনালে টস জিতে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। কিন্তু মুর্শিদা খাতুন-দিলারা আক্তাররা গ্রুপ পর্বের দুই ম্যাচের মতো ব্যাটিং করতে পারেনি। বরং শুরুতে বিপর্যয়ে পড়ে। ওপেনার দিলারা একটা ছক্কা মেরে নামের পাশে ৬ রান তুলে ফিরে যান। আগের ম্যাচে ৮০ রান করা মুর্শিদা ফিরে যান ৪ রান করে। তিনে নামা ইশমা তানজিম, যথাক্রমে পাঁচে ও ছয়ে নামা রুমানা আহমেদ ও রাবেয়া খাতুন মাত্র ১ রান যোগ করে সাজঘরে ফিরে যান। বাংলাদেশ ৪৪ রানে হারায় ৬ উইকেট। সেখান থেকে অধিনায়ক নিগার সুলতানা শেষ ওভার পর্যন্ত ব্যাটিং করেন। তবু বড় হয়নি রান।
নিগার ৫১ বলে দুই চারের শটে ৩২ রানের ইনিংস খেলেন। পাঁচ বল থাকতে আউট হন তিনি। এছাড়া স্বর্ণা আক্তার ১৮ বলে ১৯ রান যোগ করেন। বাংলাদেশের ইনিংস গুড়িয়ে দেন রেনুকা ঠাকুর সিং ও রাধা যাদব। তারা ৪ ওভার করে হাত ঘুরিয়ে যথাক্রমে ১০ ও ১৪ রান দিয়ে ৩টি করে উইকেট তুলে নেন।
সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছিলেন ভারতের দুই ওপেনার স্মৃতি মান্ধানা ও শেফালি ভার্মা। অর্ধশতক তুলে নেয়া স্মৃতি ৩৯ বলে ৫৫ রানে অপরাজিত থাকেন। অন্যপ্রান্তে ২৬ রান করেন শেফালি। দুজনের ব্যাটে কোনো উইকেট না হারিয়ে ১১ ওভারেই জয়ের বন্দরে পৌঁছায় ভারত। একইসঙ্গে ফাইনালে উত্তীর্ণ হয় তারা।.