পাঁচ বছর পরিত্যক্ত থাকার পর সিলেটের বিয়ানীবাজার গ্যাসক্ষেত্রের ১ নম্বর কূপ থেকে জাতীয় সঞ্চালন লাইনে (গ্রিড) গ্যাস সরবরাহ শুরু হয়েছে। সোমবার (২৮ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৬টা থেকে জাতীয় সঞ্চালন লাইনে গ্যাস সরবরাহ চালু করা হয়। যদিও কারিগরি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে সময় লেগে যাওয়ায় কিছুটা দেরি হয়েছে বলে জানিয়েছেন এর সাথে থাকা সংশ্লিষ্টরা।
বিয়ানীবাজার গ্যাস কূপের উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) ও প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী আব্দুল জলিল প্রামাণিক বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সব কিছু ঠিক রেখে আমরা গতকাল সন্ধ্যা ৬টা থেকে জাতীয় গ্রীডে গ্যাস সরবরাহ শুরু করতে পেরেছি। এখন এ কূপ থেকে প্রতিদিন জাতীয় গ্রীডে ৮০ লাখ ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা হবে। যদিও আমরা ১১ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের চাপ সফলভাবে পরীক্ষা করেছি। এরপরও আমরা সুরক্ষিত (সেফ) থাকতে চা্ই। এ জন্য সরবরাহ ৮ মিলিয়নে রাখা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বিয়ানীবাজার গ্যাস ফিল্ডের ১ নম্বর কূপ থেকে ১৯৯১ সালে গ্যাস তোলা শুরু হয়। ২০১৪ সালে তা বন্ধ হয়ে যায়। এরপর ২০১৬ সালে ফের উত্তোলন শুরু হলে ওই বছরের শেষ দিকে আবারও তা বন্ধ হয়ে যায়। ২০১৭ সালের শুরু থেকেই কূপটি পরিত্যক্ত অবস্থায় ছিল। এরপর বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন (বাপেক্স) ওই কূপে অনুসন্ধান কাজ চালিয়ে গ্যাসের মজুত পায়।
এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ১০ সেপ্টেম্বর ওই কূপে নতুন করে কাজ (ওয়ার্ক ওভার) শুরু হয়। কূপে গ্যাস প্রাপ্তি নিশ্চিতের পর গত ১০ নভেম্বর থেকে গ্যাসের চাপ পরীক্ষা শেষে কূপ থেকে দ্রুত জাতীয় সঞ্চালন লাইনে গ্যাস দেওয়ার জন্য প্রস্তুত করা হয়।
বর্তমানে কূপের ৩ হাজার ২৫৪ মিটার গভীরে ৭০ বিলিয়ন ঘনফুটের বেশি গ্যাস মজুত আছে, এমনটি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। তারা জানান, কূপটি দৈনিক ১০ থেকে ১২ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করতে সক্ষম। তবে কারিগরি বিভিন্ন দিক বিবেচনা করে দৈনিক ৭০ থেকে ৮০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা হবে। এতে দৈনিক ১২৫ থেকে ১৩০ ব্যারেল কনডেন্স গ্যাসও পাওয়া যাবে।