২০২১ সালে এই কোপা আমেরিকা জিতেই জাতীয় দলের জার্সিতে নিজের ট্রফি ক্ষুধা মিটিয়েছিলেন লিওনেল মেসি। ২৮ বছর পর কোনো শিরোপার দেখা পেয়েছিল আর্জেন্টিনা। কোপা জিতে আত্মবিশ্বাসে টগবগ আর্জেন্টিনা এরপর ছুঁয়ে দেখেছে বিশ্বকাপও। মহাদেশীয় ও বৈশ্বিক দুই টুর্নামেন্টের মাঝে আন্তঃমহাদেশীয় ফিনালিসিমাও জয় করে তারা।
বছর তিনেক পর আবার সেই কোপার মঞ্চে ফিরছে আর্জেন্টিনা। শুক্রবার বাংলাদেশ সময় ভোর ৬টায় আটলান্টার মার্সিডিস বেঞ্জ স্টেডিয়ামে কানাডার মুখোমুখি হবেন লিওনেল মেসিরা।
কোপা আমেরিকায় প্রথম ম্যাচটি আর্জেন্টিনার জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হতে পারে। কারণ প্রতিপক্ষ হিসেবে কানাডা মেসিদের অচেনা। কোপা আমেরিকায় এর আগে কখনো কানাডার বিপক্ষে খেলা হয়নি তাদের। দেশটির বিপক্ষে ২০১০ সালে কেবল একটি প্রীতি ম্যাচে খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে আর্জেন্টিনা। সে ম্যাচে অবশ্য আকাশি-সাদারা ৫-০ গোলের বড় ব্যবধানে জয় পেয়েছিল।
এবারের কোপা আমেরিকা আর্জেন্টিনার জন্য অনেক দিক থেকেই বিশেষ হতে পারে। মহাদেশীয় এবং বৈশ্বিক শিরোপা মিলিয়ে হ্যাটট্রিক রয়েছে কেবল স্পেনের। ২০০৮ ইউরো, ২০১০ বিশ্বকাপ এবং ২০১২ ইউরো জয়ের মাধ্যমে সে কীর্তি গড়েছিলেন স্পেনের সোনালী প্রজন্মের ফুটবলাররা।
২০২১ কোপা আমেরিকা এবং ২০২২ বিশ্বকাপ জয় করা আর্জেন্টিনার সামনে এবার প্রথম লাতিন দল হিসেবে এই কীর্তি গড়ার সুযোগ হাতছানি দিচ্ছে। অন্যদিকে ১৫ বার কোপা আমেরিকা জিতে এখন উরুগুয়ের সঙ্গে যৌথভাবে সবচেয়ে বেশি কোপা আমেরিকা জয়ের কীর্তি এখন আর্জেন্টিনার দখলে। তবে এবার জিতলে এই রেকর্ড এককভাবে নিজেদের করে নিতে পারবেন মেসিরা।
উল্লেখ্য, আগামী ১৫ জুলাই ফাইনাল দিয়ে পর্দা নামবে কোপা আমেরিকার।