পুঁজিবাজার পুঁজির যোগান বাড়াতে সক্রিয় রয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এরই ধারাবাহিকতায় যেসব মন্ত্রণালয়, বিভাগ, সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের কাছে উদ্বৃত্ত তহবিল রয়েছে রয়েছে, তাদের কর্মকর্তাদের পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ সম্পর্কে সচেতনতার বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সচেতনাতার মাধ্যমে পুঁজিবাজারে পুঁজির যোগান বাড়বে বলে মনে করে বিএসইসি।
সম্প্রতি এ বিষয়ে প্রয়োনীয় ব্যবস্থা নিতে ফাইন্যান্সিয়াল লিটারেসি বিভাগের কাছে চিঠি দিয়েছে বিএসইসি।
তথ্য মতে, পুঁজিবাজার বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং পুঁজি বৃদ্ধির জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণলয়, বিভাগ ও যেসকল সংস্থার নিকট উদ্বৃত্ত তহবিল রয়েছে সেসকল মন্ত্রণালয়/বিভাগ/সংস্থ/প্রতিষ্ঠান যেমন- অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, অর্থ বিভাগ, এনবিআর, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, আরজেএসসি, বিপিসি, ডেসকো, ডেসা, ঢাকা ওয়াসা, বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ড, রাজউক, ন্যাশনাল হাউজিং কর্তৃপক্ষ, বিআইডব্লিউটিএ, বিআইডব্লিউটিসি, বিসিআইসি, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ, মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ, বিভিন্ন সিটি কর্পোরেশন থেকে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়ে এক বা একাধিক সেমিনার/কর্মশালা আয়োজন করার জন্য কমিশনের ফাইন্যান্সিয়াল লিটারেসি বিভাগকে অনুরোধ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ফাইন্যান্সিয়াল লিটারেসি বিভাগকে বিশেষ ভাবে অনুরোধ জানানো হালো।
করোনা পরিস্থিতির মধ্যে ২০২০ সালের ১৭ মে বিএসইসির চেয়ারম্যান হিসবে দায়িত্ব নেন অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল ইসলাম। তার সঙ্গে কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব নেন একই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ, অধ্যাপক মিজানুর রহমান ও সাবেক শিল্পসচিব আব্দুল হালিম। তাদের নেতৃত্বে ২০২১ সালের অক্টোবর পর্যন্ত পুঁজিবাজারে টানা উত্থান লক্ষ্য করা গেছে। এ সময়ে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাধারণ সূচক ৪ হাজার থেকে বেড়ে দাঁড়ায় ৭ হাজার ৩০০ পয়েন্টে। আর লেনদেন ১০০ কোটি টাকা থেকে বেড়ে দাঁড়ায় ৩ হাজার কোটি টাকার বেশি। তবে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে বিশ্ব অর্থনীতির টানাপড়েনের মধ্যে বাংলাদেশের পুঁজিবাজার গতি হারিয়ে ফেলে। এর পরেও পুঁজিবাজারে গতি ফিরিয়ে আসনে নতুন নতুন উদ্যোগ নিচ্ছে বিএসইসি।