নভেম্বর ২৬, ২০২৪

আবগারি (মদ) মামলায় অর্থ পাচারের অভিযোগে কেজরিওয়ালকে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) গত ২১ মার্চ গ্রেফতার করে। সেই গ্রেফতার অবৈধ ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত দাবি করে কেজরিওয়াল মামলা করেন। নির্বাচনী প্রচারের স্বার্থে সুপ্রিমকোর্ট তাকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেন। আগামী ১ জুন ভারতের লোকসভা নির্বাচন শেষ হয়ে গেলে ২ জুন কেজরিওয়ালকে তিহার কারাগারে ফেরত যেতে হবে।

এ মুহুর্তে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল আরও ৭ দিন মুক্ত থাকতে চান। শারীরিক কারণে সুপ্রিমকোর্টের কাছে তিনি এ আবেদন জানিয়েছেন।

দিল্লির ভোট শেষ হওয়ার পরেই কেজরিওয়াল তার জামিনের মেয়াদ এক সপ্তাহ বাড়ানোর আবেদন করেন। দিল্লির মন্ত্রী আতিশি পিটিআইকে সে কথা জানিয়েছেন।

আবেদনে তিনি বলেছেন, এ সময়ের মধ্যে তিনি কিছু স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে চান। তার দল আম আদমি পার্টি (আপ) থেকে বলা হয়েছে, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর ওজন ৭ কেজি কমে গেছে, এছাড়া তার শরীরে ‘কিটোন’–এর মাত্রা অনেকটাই বেড়ে গেছে। ‘কিটোন’ হলো এক ধরনের অ্যাসিড, যা চর্বি থেকে শক্তি সঞ্চয়ের সময় শরীরে সৃষ্টি হয়। এর মাত্রা বেড়ে গেলে গুরুতর শারীরিক বিপর্যয় দেখা দিতে পারে।

আপ–এর পক্ষ থেকে এ তথ্য দিয়ে বলা হয়েছে, দিল্লির ম্যাক্স হাসপাতালে কেজরিওয়ালের বেশ কিছু শারীরিক পরীক্ষা হয়েছে। পেট–সিটি স্ক্যানসহ আরও কিছু পরীক্ষা করার প্রয়োজন। সেই কারণে মুখ্যমন্ত্রী তার জামিনের মেয়াদ আরও ৭ দিন বাড়ানোর আবেদন করেছেন।

ইডির তীব্র বিরোধিতা অগ্রাহ্য করে সুপ্রিমকোর্টের বিচারপতি সঞ্জীব খান্না ও দীপংকর দত্ত ১০ মে কেজরিওয়ালকে ভোট শেষ হওয়া পর্যন্ত অন্তর্বর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর করেছিলেন।

রায়ে বলা হয়েছিল, এই সময়ের মধ্যে রাজনৈতিক প্রচার করলেও তিনি মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না। সচিবালয়ে যেতে পারবেন না। কোনো ফাইলে সই করতে পারবেন না। ১ জুন ভোট মিটে গেলে পরের দিনই তাকে তিহার কারাগারে ফেরত যেতে হবে।

বিজেপি সুপ্রিমকোর্টের ওই সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা করেছিল। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, সুপ্রিমকোর্টের ওই রায় ‘স্বাভাবিক নয়’। বহু মানুষ মনে করেন, কেজরিওয়ালকে ‘বিশেষ সুবিধা’ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বিচারপতিরা বলেছিলেন, তারা আইন অনুযায়ীই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

সুপ্রিমকোর্ট শারীরিক কারণে কেজরিওয়ালের আবেদন গ্রাহ্য করলে কেজরিওয়াল কারাগারের বাইরে বসে ভোটের ফল দেখতে পারবেন। বিজেপিকে সরিয়ে ‘ইন্ডিয়া’ জোট সরকার গঠনের অবস্থায় এলে কেজরিওয়াল অন্য নেতাদের সঙ্গে আলোচনাতেও অংশ নিতে পারবেন।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...