অকৃত্রিম বন্ধু হিসেবে যেকোনো সংকটে ভারত বাংলাদেশের পাশে থাকবে বলে জানিয়েছেন ঢাকায় দায়িত্ব পালনরত ভারতে হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মা। তিনি বলেছেন, করোনাকালে টিকা ও অক্সিজেন দিয়ে বাংলাদেশের পাশে ছিল ভারত। আগামী দিনেও ওষুধসহ বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগের মাধ্যমে বাংলাদেশের পাশে থাকবে দিল্লি। সানফার্মার নতুন বিনিয়োগ বাংলাদেশের উন্নতির ইতিহাসে ভারতের ক্রমবর্ধমান অংশীদারত্বের প্রতিফলন ঘটায় বলেও মন্তব্য করেন প্রণয় ভার্মা।
শনিবার নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে মেঘনা ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইকোনমিক জোনে ভারতীয় বিনিয়োগে সান ফার্মাসিউটিক্যালসের কারখানা উদ্বোধন করতে এসে তিনি এ কথা বলেন। এই সময় বাংলাদেশের ওষুধ শিল্পের উন্নয়নে ভারতের ফার্মাকোপিয়া ব্যবহারেও বাংলাদেশকে অনুরোধ করেন তিনি।
এর আগে ভারতের হাইকমিশনার ও প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান যৌথভাবে মেঘনা ইন্ড্রাস্টিয়াল ইকোনমিক জোনে ভারতের শীর্ষ স্থানীয় ফার্মাসিউটিকাল কোম্পানি সান ফার্মার একটি নতুন প্লান্ট উদ্বোধন করেন। প্রতি বছরে ১ বিলিয়নেরও বেশি ট্যাবলেট ও ক্যাপসুল উৎপাদন ক্ষমতা নিয়ে এটি বাংলাদেশে কোম্পানিটির দ্বিতীয় বিনিয়োগ।
উদ্বোধনকালে সালমান এফ রহমান বলেন, সান ফার্মার বিনিয়োগে বাংলাদেশের ওষুধ শিল্পে নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে। স্থানীয় বাজারের পাশাপাশি বিদেশে ওষুধ রপ্তানি করতে সান কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেন তিনি। এছাড়া বাংলাদেশে ভারতেও বিনিয়োগ আরও বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন প্রধানমন্ত্রীর এই উপদেষ্টা।
প্রণয় ভার্মা জোর দিয়ে বলেন, এই বিনিয়োগটি বাংলাদেশের উন্নতির ইতিহাসে ভারতের ক্রমবর্ধমান অংশীদারত্বের প্রতিফলন ঘটায় এবং এটি কেবল দ্বি-পাক্ষিক অর্থনৈতিক সম্পর্ককে শক্তিশালীই করে না বরং আমাদের দুইটি অর্থনীতির মধ্যে শক্তিশালী সাপ্লাই চেইন ও ভ্যালু চেইনস লিংকেজ স্থাপনের আরেকটি পদক্ষেপকেও চিহ্নিত করে।
এই সময় অন্যান্যের মধ্যে আরও বক্তব্য দেন, মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রি ও মেঘনা ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইকোনমিক জোনের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল (বেজার) নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুন, বাংলাদেশ ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ ইউসুফ, ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যাল লিমিটেডের চেয়ারম্যান ড. আব্দুল মুক্তাদির, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি অনুষদের ডিন ড. ফিরোজ আহমেদ প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, সান ফার্মা বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম স্পেশালিটি জেনেরিক কোম্পানি। এ ছাড়া ভারতের বৃহত্তম ওষুধ উৎপাদনকারী এবং যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় জেনেরিক কোম্পানি। বিশ্বের ছয়টি মহাদেশে এ কোম্পানির উৎপাদন প্ল্যান্ট রয়েছে।