দেশের রিজার্ভ ও মুদ্রাস্ফিতি কোনোটি সন্দহজনক ও ভীতি সৃষ্টিকরক নয় বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কমিশনার অধ্যাপক ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ।
শনিবার (২০ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় নোয়াখালী জেলার মাইজদীর দত্তেরহাটে নোয়া কনভেনশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত বিনিয়োগ শিক্ষা কনফারেন্সে স্বাগত বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ও সাবেক উপাচার্য ড. এ কে আজাদ চৌধুরী। এছাড়া বিশষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নোয়াখালী জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান, নোয়াখালী পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম, নোয়াখালী পৌরসভার মেয়র মো. সহিদ উল্যাহ খান এবং নোয়াখালী চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির পরিচালক মুক্তিযোদ্ধ তপন চন্দ্র মজুমদার।
শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, আমাদের ব্যাংকের লিকুইডিটির পজিশন আসলেই ভালো আছে। এটি খারাপ ভাবার কোনো যুক্তি নেই। বর্তমানের আমাদের প্রায় ১ লাখ ৭০ হাজার কোটি টাকা অতিরিক্ত লিকুইডিটি রয়েছে। আমাদের রিজার্ভ নিয়ে অনেকেই কথা বলেন, সেগুলো যৌক্তিক নয়। আমাদের সেই সক্ষমতা রয়েছে। আমরা এখনও তিন-চার মাসের ক্রয়ক্ষমতার রিজার্ভ রয়েছে।
তিনি বলেন, অনেকেই আমাদের রিজার্ভ ও মুদ্রাস্ফিতি নিয়ে গুজব সৃষ্টি করছে। অবশ্যই এগুলো নিয়ে চিন্তার বিষয় রয়েছে। অবশ্যই এগুলো পরিবর্তন হয়েছে। ফলে কিছু কিছু ক্ষেত্রে সন্দহের উদ্ভব হয়ে থাকতে পারে। কিন্তু বর্তমান তথ্যগুলো সংগ্রহ করে যৌক্তিক ভাবে বিবেচনা করলে তা কোনোটি সন্দহজনক নয়, কোনোটি ভীতি সৃষ্টিকরক নয়। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সঙ্গে এগুলোর সংযুক্তি রয়েছে। এ জন্য আমাদেরকে চেষ্টা করতে হবে পুঁজিবাজারে সংযুক্ত থাকার জন্য।
তিনি অরো বলেন, বাংলাদেশে গত ১৫ বছরে বিশেষ পরিবর্তন হয়েছে, যা অকল্পণীয়। সেখান থেকে আমরা বলতে পারি যে, বাংলাদেশ অবশ্যই একটি উল্লেখযোগ্য বৈশ্বয়িক অবস্থনে এসেছে। সে জন্য একগুলো মৌলিক অর্থনৈতিক তথ্য আমাদেরকে প্রলুব্ধ করবে এদেশের প্রতি আস্থা এবং প্রেক্ষাপটকে সুনিশ্চিত করতে। আমাদের অর্থনৈতিক উন্নয়নের ধরা ক্রমাগত বৃদ্ধি পেয়েছে। আগামী ২০২৬ সাল পর্যন্ত আপনারা যেভাবেই চিন্তা করুন না কেন, আমাদের প্রজেকশন আছে যে, আমরা আসলেই গ্রো করব। আমাদের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ক্রমাগত বৃদ্ধি পেয়েছে। কোভিডের কারণে এটা কিছুটা থেমেছিল। কিন্তু সেটা যে থেমেই থাকবে এমন কোনো যুক্তি নেই।