হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির মৃত্যুর ঘটনায় ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির কাছে চিঠি লিখেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। চিঠিতে তিনি রাইসির ব্যাপক প্রশংসা করেন।
পুতিন বলেন, প্রেসিডেন্ট রাইসি সারা জীবন দেশের কাজেই নিজেকে নিবেদিত রেখেছিলেন। রাশিয়ার সত্যিকারের বন্ধু হিসেবে প্রেসিডেন্ট রাইসি দুই দেশের মধ্যকার সৎ প্রতিবেশীসুলভ সম্পর্ক উন্নয়নের মাধ্যমে তা কৌশলগত সম্পর্কে পরিণত করেছেন।
রাইসিকে তিনি ‘চমৎকার রাজনীতিবিদ’ বলে প্রশংসা করেন এবং তার শাহাদাতের ঘটনায় ইরানের ‘অপূরণীয় ক্ষতি’ হয়েছে বলে মন্তব্য করেন।
এদিকে বিমান দুর্ঘটনার পরপরই মস্কোয় নিয়োজিত ইরানের রাষ্ট্রদূত কাজেম জালালিকে ক্রেমলিনে ডেকে নিয়ে ঘটনার বিস্তারিত শুনেছেন ভ্লাদিমির পুতিন।
কাজেম জালালি বলেন, রোববার রাশিয়ায় সরকারি ছুটি হওয়া সত্ত্বেও রাত ১০টার দিকে পুতিন বৈঠক করেন। এ সময় রাশিয়ার প্রতিরক্ষা ও বিভিন্ন নিরাপত্তা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। তার আমন্ত্রণে ইসলামিক রিপাবলিক অব ইরানের প্রতিনিধি হিসেবে আমি বৈঠকে অংশগ্রহণ করি।
কাজেম জালালি বলেন, বৈঠকের শুরুতেই পুতিন আমাকে বলেন, ইরানের প্রেসিডেন্টের হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় আমরা খুবই মর্মাহত। এ বিষয়ে সহযোগিতার জন্য যা দরকার হবে, তা আমরা করব। এ ঘটনায় আমরা খুবই উদ্বিগ্ন ও বিচলিত। যা কিছু প্রয়োজন, তার জন্য আমরা প্রস্তুত আছি, এ বার্তা ইসলামিক রেভল্যুশনের সর্বোচ্চ নেতার কাছে পৌঁছানো নিশ্চিত করুন।
ইরানের রাষ্ট্রদূত জানান, বৈঠকে রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী আন্দ্রেই বেলুসভ; জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের সেক্রেটারি সের্গেই শোইগু; সশস্ত্র বাহিনীর চিফ অব দ্য জয়েন্ট স্টাফ ভ্যালিরি গেরাসিমভ; বেসামরিক সুরক্ষা, জরুরি পরিস্থিতি ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনামন্ত্রী আলেক্সান্দার কোরেনকোভ, প্রেসিডেন্টের বিশেষ সহকারী ইগোর লেভিতিন ও কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।