নতুন নতুন সংযোজন ও চমক নিয়ে আরও বড় পরিসরে ঢাকায় শুরু হতে যাচ্ছে টেক্সটাইল ও গার্মেন্টস শিল্পের জনপ্রিয় আয়োজন ইনটেক্স বাংলাদেশ এক্সপো। আগামী ৩০ মে রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) পর্দা উঠবে আন্তর্জাতিক টেক্সটাইল সোর্সিংয়ের প্রিমিয়ার এই শো-এর ১৪তম আসরের।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের উদ্যোক্তা এবং সরবরাহকারীদের সঙ্গে বাংলাদেশের টেক্সটাইল এবং গার্মেন্টস শিল্পকে সংযুক্ত করছে ইনটেক্স বাংলাদেশ এক্সপো। তিন দিনব্যাপী এই এক্সপো দেশের শীর্ষস্থানীয় গার্মেন্টস পণ্য রপ্তানিকারক, স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ব্র্যান্ড এবং সোর্সিং প্রতিষ্ঠানগুলোকে এক কাতারে নিয়ে আসার ব্যাপারে আশাবাদী। এ বছর ১০টিরও অধিক দেশের দুই শতাধিক কোম্পানি ফাইবার, সুতা, কাপড়, নতুন প্রযুক্তির সলিউশনসহ প্রয়োজনীয় বিভিন্ন দিক প্রদর্শনের পাশাপাশি রপ্তানি এবং অভ্যন্তরীণ কার্যপ্রণালীর বিভিন্ন দিক তুলে ধরবে।
এবারের আয়োজন নিয়ে টেক্সপ্রোসিল-এর চেয়ারম্যান সুনীল পাটোয়ারী বলেন, ‘ইনটেক্স বাংলাদেশ এক্সপো বাংলাদেশ ও ভারত দুই দেশের টেক্সটাইল ও গার্মেন্টস শিল্পের সম্পর্ক জোরদারের মজবুত প্ল্যাটফর্ম। এবারের এক্সপোতে অন্যান্য দেশের বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মের পাশাপাশি টেক্সপ্রোসিল-এর প্যাভিলিয়ন নতুন ব্যবসায়িক অংশীদারত্ব এবং সহযোগিতার দ্বার উন্মোচন করবে, যা বাংলাদেশ এবং দক্ষিণ এশীয় টেক্সটাইল শিল্পের উন্নয়ন ঘটাবে। এ বছর আমাদের সদস্যরা টেকসই, অর্গানিক সুতার পাশাপাশি ভারত সরকারের একটি উদ্যোগ ‘কস্তুরি সুতা’ প্রদর্শন করবে, যা বিদেশি ক্রেতাদের চাহিদা পূরণে বাংলাদেশের গার্মেন্টস শিল্পকে সহায়তা করবে। ’
পেডেক্সিল-এর ভাইস চেয়ারম্যান কে. শক্তিভেল বলেন, ‘বাংলাদেশের গার্মেন্টস শিল্পের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিদের সঙ্গে সুসম্পর্ক স্থাপন এবং দক্ষিণ এশিয়ার টেক্সটাইল শিল্পের আরও উন্নতি সাধনের লক্ষ্যে পেডেক্সিল ইনটেক্স বাংলাদেশের সঙ্গে যোগ দিতে পেরে গর্বিত। বাংলাদেশে কিউরেটেড ভারতীয় পণ্য প্রদর্শনের মাধ্যমে আমরা ভারত-বাংলাদেশ বাণিজ্য আরও জোরদারের আশাবাদ ব্যক্ত করছি। আমরা দুই দেশের টেক্সটাইল শিল্পকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য একটি শক্তিশালী নেটওয়ার্ক গড়ে তুলতে বদ্ধপরিকর। ’
ইনটেক্স বাংলাদেশ এশিয়ার শীর্ষস্থানীয় সরবরাহকারীদের কর্মক্ষমতা, কার্যকরী এবং পরিবেশ-বান্ধব উপকরণ প্রদর্শন করবে যা বাংলাদেশি প্রস্তুতকারকদের বৃহত্তর বাজার থেকে উপকরণ সংগ্রহ এবং ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণে সহায়তা করবে।
দক্ষিণ এশিয়া, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া (আসিয়ান), হংকংসহ অন্যান্য অঞ্চলের পোশাক প্রস্তুতকারক, রপ্তানিকারক, সোর্সিং প্রতিষ্ঠান, ডিজাইন, সাপ্লাই চেইন, মার্চেন্ডাইজিং পেশাজীবীদের মধ্যে বাজার সৃষ্টি, ব্যবসা সম্প্রসারণসহ সরাসরি বৈশ্বিক নেটওয়ার্কের সাথে যুক্ত করবে ইনটেক্স বাংলাদেশ।
এবারের এক্সপোতে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ক্রেতা তাদের ব্যবসায়িক চাহিদা পূরণে বাংলাদেশ থেকে সোর্সিংয়ের নেটওয়ার্ক তৈরির সুযোগ পাবেন। ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ যেন ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের গার্মেন্টস পণ্য রপ্তানির মাধ্যমে এই শিল্পে বিশ্বকে নেতৃত্ব দিতে পারে সেই লক্ষ্যে নিত্যনতুন উদ্ভাবন, বৈচিত্র্যময় সরবরাহ এবং মূল অংশীজনদের একত্রিত করার জন্য কাজ করে যাচ্ছে ইনটেক্স বাংলাদেশ।