বান্দরবানের তমব্রু সীমান্তে এক সংঘর্ষের ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে বাংলাদেশের সামরিক প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরের একজন কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন।
স্কোয়াড্রন লিডার র্যাংকের এই কর্মকর্তা বিমান বাহিনী থেকে ডিজিএফআইতে এসেছিলেন।
ওই সংঘর্ষে পুলিশের বিশেষ বাহিনী র্যাবের একজন কর্মকর্তাও আহত হয়েছেন।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই সংঘর্ষের ঘটনার জন্য মাদক চোরাচালানকারীদেরকে দায়ী করা হয়েছে।
সোমবার গভীর রাতে পাঠানো আইএসপিআরের ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, র্যাব ও ডিজিএফআইয়ের মাদক বিরোধী যৌথ অভিযান চলার সময় সোমবার মাদক চোরাচালানকারীদের সাথে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বান্দরবান জেলার তমব্রু সীমান্ত এলাকায় সংঘর্ষ হয়।
ওই সংঘর্ষ চলার সময় মাদক চোরাচালানকারীদের গুলিতে ডিজিএফআইয়ের একজন কর্মকর্তা (বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর কর্মকর্তা) নিহত এবং র্যাবের একজন সদস্য আহত হয়েছেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
গত অক্টোবর মাসে বান্দরবানের দুর্গম এলাকায় জঙ্গি এবং বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বিরুদ্ধে যৌথ বাহিনীর অভিযান শুরু করার কথা জানিয়েছিল কর্তৃপক্ষ। সেই অভিযান শুরু করা হয়েছিল জেলার রুমা ও রোয়াংছড়ি এলাকায়।
সেই সময় ওই এলাকায় পর্যটক যাতায়াত নিষিদ্ধ করা হয়।
তবে তার আগে থেকেই বান্দরবানের তমব্রু সীমান্তের অন্যপাশে, মিয়ানমারের ভেতরে রাখাইন রাজ্যে অব্যাহত সংঘর্ষ চলার বলে খবর পাওয়া যাচ্ছিল।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বিজিবি, বান্দরবানের স্থানীয় বাসিন্দা এবং মিয়ানমারের সংবাদপত্র থেকে পাওয়া তথ্যে জানা যাচ্ছে, অগাস্ট মাসের শুরু থেকে রাখাইন রাজ্যে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সঙ্গে আরাকান বিদ্রোহী বাহিনীগুলোর লড়াই চলছে।, ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এ কে এম জাহাঙ্গীর আজিজ জানিয়েছিলেন যে বেশ কিছুদিন ধরেই প্রতিদিন সীমান্তের ওপার থেকে গোলাগুলির আওয়াজ আসছে। এক সময়ে যুদ্ধবিমান আর হেলিকপ্টার থেকে গোলা ছুঁড়তেও দেখা গেছে।
মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশের ভেতরে গোলা পড়ার কারণে সেদেশের রাষ্ট্রদূতকে ডেকে কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছিল বাংলাদেশ।
তখন বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড বিজিবির পরিচালক (অপারেশন্স) লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফয়জুর রহমান বলেছিলেন, মিয়ানমারে সংঘর্ষের ঘটনায় বিজিবি সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। বাংলাদেশের ভেতরে যাতে কেউ প্রবেশ করতে না পারে, সেজন্যও তারা সতর্ক রয়েছেন।