ইলেকট্রনিক ডিভাইস ও ইন্টারনেট সংযোগ ব্যবহার করে প্রবাসীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের ইমো আইডি হ্যাক করে প্রতারণার অভিযোগে তিন যুবককে গ্রেপ্তার করেছে কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রন্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট। তারা হলেন- রবিন আলী (২১), শাকিব খান (২২) এবং মো. রেজোয়ান ইসলাম (২৩)।
রোববার (১৩ নভেম্বর) দিবাগত রাতে নাটোরের লালপুর ও রাজশাহীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেপ্তার করে সিটিটিসির সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনের একটি দল।
এর মধ্যে শাকিব খান এবং রেজোয়ান ইসলাম রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। এ সময় তাদের কাছ থেকে ইমো হ্যাক ও প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত সাতটি মোবাইল ফোন এবং সাতটি সিম কার্ড জব্দ করা হয়।
মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) সিটিটিসির সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার আ. ফ. ম. আল কিবরিয়া জানান, তারা দীর্ঘদিন থেকে পরস্পর যোগসাজশ ইলেকট্রনিক ডিভাইস ও ইন্টারনেট সংযোগ ব্যবহার করে প্রবাসীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের ইমো ব্যবহারকারীদের ইমো হ্যাক করতো। চক্রের সদস্যরা প্রথমে ইমো ব্যবহারকারী প্রবাসীদের নম্বর সংগ্রহ করেন। পরে তারা কৌশলে টার্গেট করা প্রবাসীর ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড হাতিয়ে নেন।
পাসওয়ার্ড পাওয়ার পর তারা সেই আইডি থেকে পাঠানো কথোপকথন ও মেসেজ পর্যবেক্ষণ করেন। এক পর্যায়ে হ্যাক করা আইডি ব্যবহার করে স্বজনদের দুর্ঘটনা বা অসুস্থতার কথা বলে প্রবাসীদের বিকাশে বড় অংকের টাকা পাঠাতে বলেন।
এ বিষয়ে খিলগাঁও থানার নিয়মিত মামলার ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে অপরাধীদের গ্রেপ্তার করে সিটিটিসির সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনের একটি দল। গ্রেপ্তারদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড আবেদন করে সোমবার (১৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় সোপর্দ করা হলে একদিনের রিমান্ড মঞ্জর করেন আদালত।
সিটিটিসির সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন বিভাগের এডিসি নাজমুল জানান, এ ধরনের অপকর্ম করত নাটোরের লালপুরে একটি গ্রুপ তৈরি হয়েছে। সেখানকার অনেককেই শনাক্ত করেছে ডিএমপির সিটি-সাইবার। শিগগিরই সেখানে বড় ধরনের অভিযান পরিচালিত হবে।
তিনি আরো বলেন, কোনোভাবেই মোবাইল বা ইমোতে আসা ওটিপি কাউকেই শেয়ার করা যাবে না। সচেতনতাই সাইবার নিরাপত্তার ভিত্তি।