নভেম্বর ২৭, ২০২৪

দখলদার ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কঠোর সমালোচনা করেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। আমিরাতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ আব্দুল্লাহ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ লিখেছেন, এ উদ্যোগ নেওয়ার জন্য আইনি এখতিয়ার নেই ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রীর। গাজায় ইসরাইলি উপস্থিতিকে আড়াল করার কোনো পরিকল্পনায় যুক্ত হবে না সংযুক্ত আরব আমিরাত। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

তিনি বলেন, ফিলিস্তিনি জনগণের আশা ও আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করে এমন একটি ফিলিস্তিনি সরকারকে সহযোগিতা প্রস্তুত রয়েছে আমিরাত। এর মধ্যে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাও রয়েছে।

গত সপ্তাহে এক সাক্ষাতকারে নেতানিয়াহু বলেছিলেন, যুদ্ধের পর গাজা পরিচালনার জন্য একটি বেসামরিক সরকারকে আমিরাত, সৌদি আরব ও অপর দেশগুলো সহযোগিতা করতে পারে।

যুদ্ধের পর গাজার ভবিষ্যৎ সরকারে উপসাগরীয় দেশটির সম্ভাব্য ভূমিকা নিয়ে নেতানিয়াহুর মন্তব্যের পর শনিবার (১১ মে) এ সমালোচনা করল দেশটি।

মধ্যপ্রাচ্যের যে কয়েকটি দেশ ইসরাইলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করেছে সেগুলোর মধ্যে একটি প্রভাবশালী দেশ হল আমিরাত। প্রায় সাত মাস ধরে ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসন চলমান থাকলেও এ সম্পর্ক অব্যাহত রয়েছে। যদিও তাতে ফাটল ধরছে, এমন ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।

নেতানিয়াহুর মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ সদস্যরা স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের ধারণা প্রত্যাখ্যান করে আসছেন। ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বলে আসছেন, যুদ্ধের পরও গাজার নিরাপত্তা নিয়ন্ত্রণ করবে ইসরাইল।

ফিলিস্তিনিরা অধিকৃত পশ্চিম তীর এবং গাজায় একটি স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে চায়। এতে সমর্থন রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের।

সূত্রের বরাতে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজায় সামরিক অভিযানের কারণে নেতানিয়াহুর সঙ্গে আমিরাতের সম্পর্কে ফাটল ধরেছে। আমিরাতি কর্মকর্তারা এখন খুব কম তার সঙ্গে কথা বলছেন।

আমিরাত যুদ্ধ ও বেসামরিক মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ে ইসরাইলের সমালোচনা করেছে। যদিও এটি জোর দিয়ে বলছে, ইসরাইলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক থাকা গাজা উপত্যকায় ত্রাণ পৌঁছাতে সহযোগিতা করেছে।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...