সিলেটের বিয়ানীবাজার গ্যাসক্ষেত্রের পরিত্যক্ত এক নম্বর কূপ খননের কাজ আবার শুরু করেছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপেস্নারেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেড (বাপেক্স)। এই কূপ থেকে প্রতিদিন ৭ মিলিয়ন ঘন ফুট গ্যাস পাওয়ার আশা সংশ্লিষ্টদের।
শনিবার (১২ নভেম্বর) দুপুরে বিয়ানীবাজারে গ্যাসক্ষেত্রের পরিত্যক্ত ওই কূপ খননের কাজ শুরু হয়। এসময় সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক
মো. মিজানুর রহমানসহ বাপেক্স ও সিলেট গ্যাসফিল্ডসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। খনন কাজ শুরুর আগে দোয়ার আয়োজন করা হয়।
সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেডের সূত্রে জানা যায়, সিলেট গ্যাস ফিল্ডসের আওতাধীন বিয়ানীবাজার গ্যাসেক্ষেত্রে দুটি কূপ রয়েছে। এরমধ্যে ১নং কূপ থেকে ১৯৯৯ সালে উৎপাদন শুরু হয়। ২০১৪ সালে তা বন্ধ হয়ে যায়। ফের ২০১৬ সালের প্রথমদিকে উৎপাদন শুরু হয়ে আবার ওই বছরের শেষদিকে উৎপাদন বন্ধ হয়ে পড়ে। এরপর থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় ছিল এটি। তবে এখানে এখনো গ্যাসের মজুত রয়েছে বলে বাপেক্সের অনুসন্ধানে জানা যায়।
এই গ্যাস কেন্দ্রের ২ নম্বর কূপ থেকে প্রতিদিন সাত থেকে সাড়ে সাত মিলিয়ন গ্যাস উত্তোলিত হচ্ছে বলে জানান বাপেক্সের কর্মকর্তারা।
সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘মাসখানেকের মধ্যেই এই কূপ খননের কাজ শেষ হবে। এরপর থেকে উৎপাদন শুরু করা যাবে। আমাদের ধারণা এই কূপ থেকে প্রতিদিন ৭ মিলিয়ন ঘনফুটের মতো গ্যাস পাওয়া যাবে। তবে খনন কাজ শেষ হওয়ার আগে নিশ্চিত করে তা বলা যাবে না।’
গ্যাসের জন্য খ্যাতি রয়েছে সিলেটের। ১৯৫৫ সালে সিলেটের হরিপুরে প্রথম গ্যাসের সন্ধান মেলে। এরপর আবিষ্কৃত হয়েছে আরও বেশ কটি গ্যাসক্ষেত্র। দেশে বর্তমানে ২৮টি আবিষ্কৃত গ্যাসক্ষেত্র রয়েছে। এসব গ্যাসক্ষেত্রে প্রমাণিত মজুতের পরিমাণ ২১ দশমিক ৪ টিসিএফ, আরও ৬ টিসিএফ রয়েছে সম্ভাব্য মজুত।