গোপালগঞ্জে ২৪ হাজার ৬২০ হেক্টর জমিতে পাট আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এরমধ্যে ২৪ হাজার হেক্টরে তোষা পাট, ৬শ’ হেক্টরে মেস্তা পাট ও ২০ হেক্টরে দেশী জাতের পাটের আবাদ করা হবে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের গোপালগঞ্জ খামারবাড়ির উপ-পরিচালক আঃ কাদের সরদার এসব তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় ৫ হাজার ২৫২ হেক্টরে তোষা পাট, ৯০ হেক্টরে মেস্তা পাট, ২০ হেক্টরে দেশী পাটের চাষাবাদ হবে। মুকসুদপুর উপজেলায় ৮ হাজার ৫৮৯ হেক্টরে তোষা পাট ও ৫ হেক্টরে মেস্তা পাটের আবাদ করা হবে। কাশিয়ানী উপজেলায় ৮ হাজার ১৮০ হেক্টরে শুধু তোষা পাটের আবাদ হবে। কোটালীপাড়া উপজেলায় ৪৩৯ হেক্টরে তোষা পাট ও ৪৯৫ হেক্টরে মেস্তা পাট আবাদের লক্ষ্য ধরা হয়েছে। টুঙ্গিপাড়া উপজেলায় ১ হাজার ৫৪০ হেক্টরে তোষা পাট ও ১০ হেক্টরে মেস্তা পাট আবাদের টার্গেট করা হয়েছে । ২৪ হাজার ৬শ’২০ হেক্টর জমি থেকে ৬৭ হাজার ৩১৫ মেট্রিক টন পাট উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানান , গোপালগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণের ডিডি আঃ কাদের সরদার ।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের গোপালগঞ্জ খামারবাড়ির অতিরিক্ত উপ-পরিচালক সঞ্জয় কুমার কুন্ডু বলেন, গোপালগঞ্জে পাটের আবাদ ও উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকার ১২ হাজার কৃষককে বিনামূল্যে প্রণোদনার পাট বীজ দিয়েছে। এসব পাট বীজ দিয়ে কৃষক ১২ হাজার বিঘা জমি চাষাবাদ করবে। ইতিমধ্যে এসব পাটবীজ বিতরণ সম্পন্ন হয়েছে। আবহাওয়া পাট চাষের অনুকূলে থাকায় কৃষক উৎসবের আমেজে পাট চাষ করছে। আশাকরা হচ্ছে এ বছর লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে পাটের আবাদ হবে।ফলে পাটের উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাফরোজা আক্তার বলেন, গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় মোট ৫ হাজার ৩৬২ হেক্টর জমিতে পাট আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। এ উপজেলায় বিনামূল্যে ২ হাজার ৩৫০ জন কৃষককে প্রণোদনার পাট বীজ দেওয়া হয়েছে।প্রণোদনার পাট বীজ পাওয়ার পর কৃষক পাট আবাদ শুরু করেন। আবহাওয়া পাট চাষের অনুকূলে থাকায় কৃষক পাট চাষ করছেন। দ্রুত গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় পাটের আবাদ সমাপ্ত হবে। এখানে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে পাট চাষের সম্ভাবনা রয়েছে। খবর বাসস।