ভারতীয় সহকারী হাই কমিশনার ডা. রাজীব রঞ্জন বলেছেন, ভারত-বাংলাদেশ ভেরি স্পেশাল পার্টনার। প্রতিবেশী সম্পর্কের ক্ষেত্রে আমরা রোল মডেল। শিক্ষা ও গবেষণা বিনিময়ের মাধ্যমে দুই দেশের সম্পর্ক আরো জোরদার করার সুযোগ রয়েছে।
তিনি আজ শুক্রবার সকালে ১০টায় চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিভাসু) অনুষ্ঠিত সপ্তাহব্যাপী আন্তর্জাতিক প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে একথা বলেন।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে রাজীব রঞ্জন বলেন, উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য তোমাদেরকে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে এবং জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জন করতে হবে।
সিভাসু অডিটোরিয়ামে পোষাপ্রাণীর পুষ্টি এবং ছোট প্রাণীর প্রজনন বিষয়ে সপ্তাহব্যাপী আন্তর্জাতিক প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনী অধিবেশনে প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন একুশে পদকপ্রাপ্ত সিভাসু’র উপাচার্য অধ্যাপক ড. গৌতম বুদ্ধ দাশ। বিশেষ অতিথি ছিলেন মাদ্রাজ ভেটেরিনারি কলেজের (এমভিসি) ডিন ড. আর. করুণাকরণ, সিভাসু’র ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন অধ্যাপক ড. মো. লুৎফুর রহমান, পরিচালক (বহিরাঙ্গন কার্যক্রম) অধ্যাপক ড. এ. কে. এম. সাইফুদ্দিন এবং মেডিসিন ও সার্জারি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. আজিজুন্নেসা।
সিভাসু’র পরিচালক (ভেটেরিনারি ক্লিনিক্স) অধ্যাপক ড. মো. রায়হান ফারুকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সিভাসু’র মেডিসিন ও সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক ড. ভজন চন্দ্র দাস।
এর আগে, ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার বিশ^বিদ্যালয়ের এনাটমি মিউজিয়াম, পিআরটিসি ল্যাব, নিউট্রিশন ল্যাব ও ভেটেরিনারি হাসপাতালের সেবা কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে তাকে ক্রেস্ট দিয়ে সম্মাননা জানানো হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পরপর টেকনিক্যাল সেশন শুরু হয়। আজকের দুটি টেকনিক্যাল সেশনে রিসোর্সপার্সন হিসেবে সেশন পরিচালনা করেন মাদ্রাজ ভেটেরিনারি কলেজের (এমভিসি) ডিন ড. আর. করুণাকরণ। আগামী রোববার থেকে এমভিসি’র পরিচালক (ক্লিনিক্স) ড. টি. সাথিয়ামূর্তি টেকনিক্যাল সেশনে রিসোর্সপার্সন হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।
সপ্তাহব্যাপী কর্মশালায় সিভাসু’র ডিভিএম-৪০২ (ডক্টর অব ভেটেরিনারি মেডিসিন) ব্যাচ, এমএস এবং পিএইচডি’র শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করবে।
২০০২ সাল থেকে এ বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মাদ্রাজ ভেটেরিনারি কলেজে ইন্টার্নশিপ করে আসছে। ২০১৭ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরকালে শিক্ষা বিনিময়ের লক্ষ্যে দুটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে পুনরায় সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।