আন্তর্জাতিক আদালতের কাছে ইসরাইলি দখলদারিত্বকে অবৈধ ঘোষণা করার আহ্বান জানিয়েছে তুরস্ক ও আরব রাষ্ট্রগুলো। একইসঙ্গে এই দখলদারিত্বকে শান্তি প্রতিষ্ঠায় প্রধান বাধা বলেও আখ্যায়িত করেছে তুরস্ক।
গাজায় ইসরাইলের ৫৭ বছরের দখলদারিত্ব নিয়ে ছয় দিনের শুনানি শেষ করেছে আন্তর্জাতিক আদালত (আইসিজে)। ১৯ ফেব্রুয়ারি নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগে এ শুনানি শুরু হয়। ১৫ বিচারপতি, ৫১ দেশ এবং ৩টি আন্তর্জাতিক সংস্থার যুক্তি উপস্থাপনের মাধ্যমে অবশেষে সোমবার এ শুননি শেষ হয়।
সোমবার রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, আরব রাষ্ট্রগুলো সোমবার আন্তর্জাতিক বিচারকদের কাছে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরাইলের দখলদারিত্বকে অবৈধ ঘোষণা করার আহ্বান জানিয়েছে। একইসঙ্গে শুনানির শেষ দিনে এটিকে শান্তি প্রতিষ্ঠায় প্রধান বাধা বলেও আখ্যায়িত করে তুরস্ক।
শুনানির শেষ দিনে তুরস্ক, স্পেন, আফ্রিকান ইউনিয়ন এবং অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশনের প্রতিনিধিরা ইসরাইলের বিরুদ্ধে যুক্তি উপস্থাপন করেছেন।
শুনানির শেষ দিনে তুরস্কের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী আহমেত ইলদিজ বিচারকদের বলেন, ইসরাইলি দখলদারিত্ব এই অঞ্চলে সংঘাতের মূল কারণ। এছাড়া গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরাইলে হামাসের হামলা এবং এর জেরে প্রায় পাঁচ মাস ধরে নিরলস ইসরাইলি আগ্রাসন ও ২৯ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনির প্রাণহানি নিয়ে বক্তব্য রাখেন ইলদিজ।
তিনি বলেন, ৭ অক্টোবরের পর উদ্ভূত পরিস্থিতি আবারও প্রমাণ করে, ইসরাইল-ফিলিস্তিনি সংঘাতের মূল সমস্যাকে সমাধান না করে, এই অঞ্চলে শান্তি থাকতে পারে না। তিনি ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড দখল করে রাখাকে ‘শান্তির পথে প্রকৃত বাধা’ বলে বর্ণনা করেন।
একইসঙ্গে এটিকে অবৈধ ঘোষণা করার জন্য আন্তর্জাতিক আদালতের বিচারকদের প্রতি আহ্বানও জানান তুরস্কের এই উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
আরব লীগের সেক্রেটারি জেনারেল আহমেদ আবুল গীত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরাইলের এই দখলদারিত্বকে ‘আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচারের অবমাননা’ হিসাবে বর্ণনা করেছেন।
রয়টার্স বলছে, শুনানির সময় আন্তর্জাতিক আদালতে বক্তব্য রাখা বেশিরভাগ দেশই বিচারকদের কাছে ইসরাইলের এই দখলদারিত্বকে অবৈধ ঘোষণা করতে আহ্বান জানায়। তবে সোমবার ছোট দ্বীপ রাষ্ট্র ফিজিসহ মুষ্টিমেয় কয়েকটি দেশ যুক্তি দিয়ে বলেছে, আইসিজেকে কোনো পরামর্শমূলক মতামত দিতে অস্বীকার করা উচিত।