নভেম্বর ১৪, ২০২৪

ইরাকের রাজধানী বাগদাদে মার্কিন ড্রোন হামলায় ইরান-সমর্থিত একটি মিলিশিয়া গোষ্ঠীর সিনিয়র কমান্ডার নিহত হয়েছেন। নিহত ওই কমান্ডার কাতাইব হিজবুল্লাহ নামে এক গোষ্ঠীর নেতা। ড্রোন হামলায় তার দুজন রক্ষীও নিহত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরাকের রাজধানী বাগদাদের পূর্বাঞ্চলে মার্কিন বাহিনীর ড্রোন হামলার সময় কাতাইব হিজবুল্লাহর এই নেতা তার দুজন রক্ষীসহ গাড়িতে ছিলেন। হামলায় তাদের তিনজনই মারা যান।

মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগন বলেছে, এই অঞ্চলে আমেরিকান বাহিনীর ওপর হামলা পরিচালনার জন্য ওই কমান্ডার দায়ী ছিলেন। এছাড়া সম্প্রতি জর্ডানে মার্কিন ঘাঁটিতে ড্রোন হামলার সাথে এই মিলিশিয়া গোষ্ঠীকে যুক্ত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। গত মাসের সেই হামলায় তিন মার্কিন সেনা নিহত হয়।

সেই হামলার পর কাতাইব হিজবুল্লাহ বলেছিল, তারা ইরাকি সরকারের কাছে ‘বিব্রত’ হওয়া রোধ করতে আমেরিকান সৈন্যদের ওপর হামলা স্থগিত করছে।

বিবিসি বলছে, বুধবার রাতের এই ড্রোন হামলাটি বাগদাদের মাশতাল এলাকার আশপাশে হয়। হামলার জেরে বেশ কয়েকটি বিস্ফোরণও ঘটে। মূলত ব্যস্ত রাস্তায় একটি চলন্ত গাড়ির ওপর সুনির্দিষ্ট এই হামলা চালায় মার্কিন বাহিনী এবং এতে করে গাড়িটি জ্বলন্ত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়।

নিহতদের মধ্যে একজন আবু বাকির আল-সাদি। তিনি কাতাইব হিজবুল্লাহর সিনিয়র কমান্ডার হিসেবে পরিচিত।

মার্কিন সামরিক বাহিনীর সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম) বলেছে, স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ৯টায় হামলাটি চালানো হয় এবং এর মাধ্যমে ‘এ অঞ্চলে মার্কিন বাহিনীর ওপর হামলার সরাসরি পরিকল্পনা ও অংশ নেওয়ার জন্য দায়ী কমান্ডারকে’ হত্যা করা হয়েছে।

সেন্টকম বিবৃতিতে আরও বলেছে, ‘হামলায় বেসামরিক হতাহতের কোনও ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি।’

এদিকে বিবিসির একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছলে বিক্ষোভকারীদের সেখানে জড়ো হয়ে ‘আমেরিকা সবচেয়ে বড় শয়তান’ বলে স্লোগান দিতে দেখে। সেখানে ইরাকের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সোয়াত দলও উপস্থিত ছিল।

এদিকে এই হামলার প্রতিবাদ জানাতে ব্যাপক সুরক্ষিত মার্কিন দূতাবাসের দিকে বিক্ষোভকারীদের যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

বিবিসি বলছে, গত ২৮ জানুয়ারি মার্কিন সেনাদের ওপর মারাত্মক ড্রোন হামলার প্রতিশোধ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র সিরিয়া ও ইরাকে ৮৫টি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালানোর কয়েকদিন পর এই অভিযান চালানো হয়।

প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন গত শুক্রবারের সেই হামলাকে মার্কিন প্রতিক্রিয়া বা জবাবের সূচনা বলে বর্ণনা করেছিলেন।

এদিকে বুধবারের এই হামলার পরপরই দেশটির মিলিশিয়ারা যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। গত বছরের ৭ অক্টোবর গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর থেকে আমেরিকান বাহিনী প্রায় প্রতিদিনই রকেট এবং ড্রোন হামলার শিকার হচ্ছে।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...