পুঁজিবাজারকে অস্থির করে তুলতে কারসাজি চক্র সক্রিয় রয়েছে। বিশেষ করে চক্রটি সূচকে প্রভাব ফেলতে পারে (ইনডেক্স মুভার স্ক্রিপ্ট) এমন কোম্পানির শেয়ার চিহ্নিত করে তা বিক্রি করছে। বিনিয়োগকারীদের আতঙ্কিত করে তুলতে শেয়ার বিক্রির চাপ বাড়ানো হচ্ছে। মূলত সরকার ও বিএসইসিকে বিব্রত করতে কারসাজি চক্র এ অপচেষ্টা চালাচ্ছে। তবে কারসাজি প্রতিরোধসহ যে কোনো অপচেষ্ট ঠেকাতে নজরদারি বাড়িয়েছে এ নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) সকালে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সদস্যভুক্ত ব্রোকারেজ হাউজ সাদেক ফাইন্যান্স ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড থেকে সূচকে প্রভাব ফেলতে পারে এমন কোম্পানিগুলোর শেয়ার বিক্রি করেছে কারসাজি চক্র। যা বিএসইসির মার্কেট সার্ভিল্যান্স অ্যান্ড ইন্টেলিজেন্স ডিপার্টমেন্টের নজরে আসে। পরবর্তীতে বিষয়টি বিএসইসি খতিয়ে দেখছে বলে নির্ভরযোগ্য সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার সকালে লেনদেন শুরুর পর ব্রোকারেজ হাউজ সাদেক ফাইন্যান্স ম্যানেজমেন্ট লিমিটেডের ৫ নম্বর ওয়ার্ক স্টেশন থেকে ইস্টার্ন ব্যাংকসহ আরো কিছু কোম্পানির শেয়ার বিক্রি করা হয়। এ দিন লেনদেন শুরুতে পুঁজিবাজারের সূচক যেন পতনমুখী অবস্থানে নেমে আসে সে উদ্দেশ্যে কারসাজি চক্রটি ইনডেক্স মুভার স্ক্রিপ্টগুলো বিক্রি করছে বলে মনে করছে বিএসইসি। পরবর্তীতে বিএসইসির মার্কেট সার্ভিল্যান্স অ্যান্ড ইন্টেলিজেন্স ডিপার্টমেন্ট এ বিষয়টি লক্ষ্য করে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছে।
এদিকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরবর্তী সরকার গঠনের পুঁজিবাজার গতিশীল হওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছিল। পাশাপাশি পুঁজিবাজারের গতিশীলতা বজায় রাখতে চলতি মাসেই ১৮ ও ২২ জানুয়ারি দুই দফায় ফ্লোর প্রাইস (সর্বনিম্ন সীমা) তুলে নেয় বিএসইসি। সংস্থাটি মনে করেছির, ফ্লোর প্রাইস তুলে নেওয়ার কারণে পুঁজিবাজারে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে এবং বাজারে গতি ফিরে আসবে।
কিন্তু সুযোগে কারসাজি চক্র পুঁজিবাজারকে অস্থিতিশীল করে তুলতে সক্রিয় হয়ে উঠেছে। এ বিষয়টি বিএসইসির মার্কেট সার্ভিল্যান্স অ্যান্ড ইন্টেলিজেন্স ডিপার্টমেন্টে বেশকিছু দিন ধরে পর্যবেক্ষণ করছিলো। তবে মঙ্গলবার বিষয়টি সুস্পষ্টভাবে বিএসইসির নজরে আসে। পরবর্তীতে তাৎক্ষণিক প্রযোজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছে বিএসইসি।