গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী র. আ. ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বলেছেন, সামনে পবিত্র রমজান মাস। এ মাসকে সামনে রেখে যারা ধান্ধায় আছেন, তাদেরকে আমরা সতর্ক করতে চাই, আমরা কোনো মজুদদারীকে সহ্য করব না। রমজানে যারা দ্রব্যমূল্য নিয়ে খেলা করবেন তাদেরকে খেলা না করার অনুরোধ করব।খেলা করলে কেউ রেহাই পাবেন না। কোনো জরিমানা নয়, সরাসরি কারাগারে পাঠানোর জন্য আমি অনুরোধ করেছি ।এ রোজার মাসকে আমরা সবকিছু থেকে মুক্ত রাখতে চাই।
শনিবার সন্ধ্যায় নিয়াজ মুহম্মদ স্টেডিয়ামে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত গণসংবর্ধনায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে মন্ত্রী বলেন, রাজনেতিক প্রতিপক্ষকে বলতে চাই, বহু চেষ্টা করেও নির্বাচন বন্ধ করতে পারেননি। মঞ্চে বসা দুজন বিজয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থীও বলেছেন নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হয়েছে। শান্তিপূর্ণভাবে কোনো মিছিল-মিটিং করলে কোনো আপত্তি নেই। যদি অশান্ত হন, আগুন সন্ত্রাস করেন, জনগণের অশান্তি হয় এমন কোনো কাজ করেন তাহলে সহ্য করা হবে না। জনগনের শান্তি বিনষ্ট হয় এমন কোন কাজ করতে দেওয়া হবেনা।
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসী আমাকে যে ভালোবাসায় সিক্ত করেছেন সেজন্য কৃতজ্ঞ ও ঋণী। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু আমাদেরকে একটি দেশ দিয়েছেন। তাঁর সুযোগ্যকন্যা শেখ হাসিনা নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে চলেছে। আপনারা আমাকে বিজয়ী করেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিন আমাকে মন্ত্রী বানিয়েছেন। আমি জেলাবাসীর কাছে দোয়া চাই, আমাকে যে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তা যেন আমি যথাযথভাবে পালন করতে পারি।আমি যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছি তা আমি পালন করব। আগেও আমি চাঁদাবাজ, ছিনতাইকারী, ভূমিদস্যু, মাদক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে ছিলাম, আজও আছি। মাদক ব্যবসায়ীদের বলতে চাই আপনাদের কারণে আমার যুবসমাজ ধ্বংসের পথে যাচ্ছে, আমি তাদের ধ্বংসের পথে যেতে দিতে পারি না। তাই মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স।
আয়োজিত সংবর্ধনায় সভাপতিত্ব করেন জেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি হেলাল উদ্দিন।বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ (নবীনগর) আসনের নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য ফয়জুর রহমান বাদল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ (নাসিরনগর) আসনের সাংসদ সৈয়দ এ. কে একরামুজ্জামান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের সাংসদ মঈনউদ্দিন মঈন, মন্ত্রীর সহধর্মিণী মাউশির সাবেক মহাপরিচালক প্রফেসর ফাহিমা খাতুন। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর মেয়র নায়ার কবির, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হাজী হেলাল উদ্দিন, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম ভূঁইয়া, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট লোকমান হোসেন, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদৎ হোসেন শোভন প্রমু
খ।