বল হাতে শুরু থেকেই দুর্দান্ত ছিলেন মারুফ মৃধা। বাংলাদেশের বোলারদের মাঝে একাই ৫ উইকেট নিয়েছেন বাঁহাতি এই পেসার। মারুফ ৫ উইকেট নেয়ার পরও ২৫১ রানের পুঁজি পেয়েছে ভারতের যুবারা। এমন পুঁজি পেতে বড় ভূমিকা রেখেছেন ৭৬ রান করা আদর্শ সিং এবং ৬৪ রানের ইনিংস খেলা উদয় সাহারান। জিততে হলে বাংলাদেশকে করতে হবে ২৫২ রান।
উইকেটে খানিকটা ঘাস থাকায় টস জিতে আগে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশের অধিনায়ক মাহফুজুর রহমান। বল হাতে ইকবাল হোসেন ইমন, মারুফ মৃধারা প্রথম ওভার থেকেই সুইং পেতে থাকেন। ভারতের দুই ওপেনার আরশিন কুলকার্নি ও আদর্শ সিং সাবধানী ব্যাটিং করতে থাকেন। তবে তাদের জুটি বড় হতে দেননি মারুফ। বাঁহাতি এই পেসারের অফ স্টাম্পের বাইরের নিচু হওয়া ডেলিভারিতে ড্রাইভ করতে গিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়েছেন আরশিন। তিনি আউট হয়েছেন ৭ রানে।
পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার আগে ভারতের আরও এক উইকেট তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ। মারুফের অফ স্টাম্পের বাইরে পড়ে বেরিয়ে যাওয়া ডেলিভারিতে এজ হয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়েছেন মুশির খান। তিনে নামা এই ব্যাটার আউট হয়েছেন ৩ রানে। পাওয়ার প্লেতে দুই উইকেটে হারালেও ভারতকে টেনে তোলেন আদর্শ এবং উদয় সাহারান। তারা দুজনে মিলে যোগ করেন ১১৬ রান। আদর্শকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন চৌধুরি মোহাম্মদ রিজওয়ান।
ডানহাতি এই পেসারের বলে বর্ষণের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন ৭৬ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলা আদর্শ। তাকে দারুণভাবে সঙ্গ দেয়া উদয়ও পেয়েছেন হাফ সেঞ্চুরির দেখা। মাহফুজুর রহমান রাব্বির বলে নিজের উইকেট রীতিমতো বিলিয়ে দিয়ে এসেছেন উদয়। মাহফুজুরের অফ অফ স্টাম্পের অনেকটা বাইরের বল খেলতে গিয়ে বর্ষণকে ক্যাচ দিয়ে ৬৪ রান করা ভারতের অধিনায়ক।
তারা দুজন ফিরলেও আটকানো যায়নি ভারতের রান। প্রিয়াংশু মলিয়া এবং আরাভেলি আভানিস দুজনই করেছেন ২৩ রান করে। শেষদিকে শচীন ধাসের ২৫ রানের ইনিংসে ২৫১ রানের পুঁজি পায় ভারত। এদিকে মুরুগান অভিষেককে ফিরিয়ে ৫ উইকেট তুলে নিয়েছেন মারুফ। একটি করে উইকেট নিয়েছেন রিজওয়ান ও রাব্বি।