উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপের নির্বাচন রমজানের আগে হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ। তবে এ বিষয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
দেশে উপজেলা পরিষদ ৪৯৫টি। সাধারণত সবকটি উপজেলায় একসঙ্গে নির্বাচন হয় না। কয়েকটি ধাপে নির্বাচন হয়।
অশোক কুমার জানান, তারা এখন পর্যন্ত ৪৮৫টি উপজেলার তালিকা পেয়েছেন। আগে যেহেতু ধাপে ধাপে নির্বাচন হয়েছে, এবারও সেভাবে হতে পারে। কয় ধাপে নির্বাচন হবে, সে সিদ্ধান্ত নির্বাচন কমিশন দেবে।
তিনি বলেন, সব দিক বিবেচনায় নিয়ে নির্বাচনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে নির্বাচন কমিশন। দেশে রোজার মধ্যে নির্বাচন হওয়ার নজির কম রয়েছে। কমিশন অনুমোদন দিলে প্রথম ধাপের নির্বাচন রমজানের আগে, বাকিগুলো পরে হতে পারে।
তিনি আরও বলেন, মেয়াদ শেষ হওয়ার আগের ১৮০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করতে হয়। সে হিসেবে সব উপজেলাই নির্বাচনযোগ্য।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অশোক কুমার বলেন, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে তারা এখনও কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের বিষয়ে কোনো চিঠি পাননি। উপজেলার তালিকা পাওয়া গেছে এবং এই নির্বাচনের জন্য কমিশন সচিবালয় প্রস্তুত রয়েছে। নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত দিলে উপজেলা পরিষদের তপশিল ঘোষণা হবে।
সংরক্ষিত নারী আসনে নির্বাচনের তপশিল আগামী সপ্তাহে
অশোক কুমার বলেন, সংসদ সচিবালয় থেকে সংসদ সদস্যদের তালিকা ইসি পেয়েছে। কমিশনের অনুমোদনক্রমে সংরক্ষিত নারী আসনে নির্বাচনের তপশিল ঘোষণা করা হবে। আগামী সপ্তাহে নির্বাচন কমিশন অনুমোদন দিলে তপশিল ঘোষণা হবে। সে ক্ষেত্রে ভোট হবে ফেব্রুয়ারিতে।
এবার ৬২ জন স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য থাকায় সংরক্ষিত আসনের বণ্টন কীভাবে হবে– এ প্রশ্নে অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, ‘এটি তো রাজনৈতিকভাবে সিদ্ধান্ত হবে। এ ব্যাপারে কমিশনের তেমন কোনো বক্তব্য নেই। আমরা রাজনৈতিক দলগুলোকে চিঠি দেবো। দলগুলো কোটা অনুযায়ী কতটি পাবে, সে ব্যাপারে বলে দেওয়া হবে।’
কোনো দল বা স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জোট করেছেন– এমন কোনো তথ্য এখনও কমিশনকে জানানো হয়নি। স্বতন্ত্ররা যদি কোনো দলের সঙ্গে বা নিজেরা আলাদা জোট না করেন, সে ক্ষেত্রে তাদের আসনের বিপরীতে সংরক্ষিত আসনের বণ্টন কীভাবে হবে– এ প্রশ্নের জবাবে অশোক কুমার বলেন, তারা যদি কিছু না জানায়, তখন পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দেশের ৩০০ আসনের মধ্যে ৭ জানুয়ারি ২৯৯ আসনে ভোট হয়। এতে আওয়ামী লীগের ২২৩, জাতীয় পার্টির ১১, ওয়ার্কার্স পার্টির ১, জাসদের ১, কল্যাণ পার্টির ১ এবং স্বতন্ত্র ৬২ জন নির্বাচিত হন। আইন অনুযায়ী এই নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা ৫০ জন নারী সংরক্ষিত সংসদ সদস্য নির্বা
চিত করবেন।