অর্থনীতি চালাতে গেলে অর্থনীতির জন্য মূল্যস্ফীতি প্রয়োজন আছে। যারা অর্থনীতি নিয়ে চিন্তা করে না, তারা বলতে পারে মূল্যস্ফীতির প্রয়োজন নেই। আজ মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) অর্থ মন্ত্রণালয়ে নির্বাচন পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময়কলে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, অর্থনীতি চালাতে গেলে অর্থনীতির জন্য মূল্যস্ফীতির প্রয়োজন আছে। যারা অর্থনীতি নিয়ে চিন্তা করে না, তারা বলতে পারে মূল্যস্ফীতির প্রয়োজন নেই। মূল্যস্ফীতি ছাড়া অর্থনীতি চলতে পারে না। কয়েক দিন আমরা ৮ থেকে ১০ বছরের মতো মূল্যস্ফীতি ৬ শতাংশের মধ্যে রেখেছি। এর চেয়ে ভালো নম্বর আর হতে পারে না।
তিনি আরও বলেন, আমাদের মাথাপিছু আয় পাঁচগুণ বেড়েছে। রিজার্ভ ১৩ বিলিয়ন ডলার থেকে ৪৮ বিলিয়ন ডলারে নিয়ে গিয়েছিলাম। এখন আমাদের ২৫ বা ২৬ বিলিয়ন ডলার রিজার্ভ রয়েছে। এ বছর আমাদের চিন্তা হলো ৩০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নামতে না দেওয়া। এটি সম্ভব, আমরা আগে যা বলেছি তা ঠিক আছে।
অর্থমন্ত্রী হিসেবে আপনার এমন কোনো ইচ্ছা ছিল কি না, যা আপনি পূরণ করতে পারেননি, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা যেভাবে অর্থনীতি শুরু করি, সেভাবে থাকতে পারিনি। কারণ একটার পর একটা যুদ্ধ লেগেই রয়েছে। ফলে অর্থনীতির কোনো কিছু ধারণা করা যায় না। তারপরও আমরা ভালো অবস্থানে আছি।
তিনি বলেন, আমাদের অর্থনীতির যে এলাকা রয়েছে, তা আপন মহিমায় উপরে উঠেছে। সুতরাং আমরা বিশ্বাস করি, আমাদের অর্থনীতি, ৪১ সালের যে লক্ষ্যমাত্রা, তা অর্জন করতে পারব। আমরা বিশ্বাস করি ৪১ সালের মধ্যে বিশ্বের ২০টি উন্নত দেশের একটি হবে বাংলাদেশ।
অর্থমন্ত্রী বলেন, বিশ্ব ব্যাংক, আইএমএফ যা বলে, তা তাদের শিখিয়ে দেওয়া হয় না। গবেষণার মাধ্যমে তারা করে। পৃথিবীর যেসব দেশ ঋণ নিচ্ছে, তাদের মধ্যে আমাদের জিডিপি ৩৪ শতাংশ। যা পৃথিবীর মধ্যে সর্বনিম্ন।
অর্থনীতি নিয়ে নতুন সরকারের চ্যালেঞ্জ কী, এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, সামনের সরকার আসুক, তখন সেটা বলা যাবে। ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী বিস্তারিত বলেছেন, আগামীতে আমাদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হবে অর্থনীতি, আমাদের অর্থনীতিকে শক্তিশালী রাখতে হবে। গতিশীল রাখতে হবে, কোনোভাবেই যাতে পথ না হারায়, এটাই।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আগামীতে অর্থনীতিই হলো মূল চ্যালেঞ্জ। এ বিষয়ে মতামত জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী যা বলেছেন, ঠিক বলেছেন। প্রধানমন্ত্রী যে চিন্তা করেন, আমরাও একই চিন্তা করি। আমাদের আলাপ আলোচনা হয়। অর্থনীতি দুর্বল হলে সরকার কীভাবে টিকে থাকবে, আর দেশ কীভাবে এগিয়ে যাবে? আমি এখনো বলি, আমরা ভালো অবস্থানে আছি।
যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা যদি আসে, তাহলে তো তৈরি পোশাক খাতে প্রভাব পড়বে। বিষয়টি কীভাবে দেখছেন, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জোর করে কেউ কিছু করলে আমরা কি কিছু করতে পারি? কোনো অপরাধ করলে শাস্তি আছে। কিন্তু বাংলাদেশ কোনো অপরাধ করেনি। অপরাধ করলে ধরা পড়ত।