এজেন্টদের বের করে দেওয়া, জাল ভোট, জোরপূর্বক নৌকায় ভোট নেওয়াসহ নানা অভিযোগে ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন পাবনা-২ আসনের বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের (বিএনএম) প্রার্থী কণ্ঠশিল্পী ডলি সায়ন্তনী। এছাড়া পাবনা-৪ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী পাঞ্জাব আলী বিশ্বাসও ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন।
ভোট শেষের এক ঘণ্টা আগে তারা সাংবাদিকদের ভোট বর্জনের কথা জানান। লিখিতভাবে তারা জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে জমা দেবেন।
পাবনা-২ আসনের নোঙর প্রতীকের প্রার্থী ডলি সায়ন্তনী বলেন, ‘আমার এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। ভোটারদের নৌকা প্রতীকে ভোট দিতে বাধ্য করা হয়েছে। আমি নিজে হাতে কয়েকটা ধরেছি। প্রিসাইডিং অফিসারের কাছে অভিযোগ দিয়েও কোনো প্রতিকার পাইনি। এরপর ভোট বর্জন করেছি।’
এর আগে ভোট শুরুর পর সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ডলি সায়ন্তনী নিজের ফেসবুক পেজে লাইভে এসে অভিযোগ করে বলেন, সুজানগরের অধিকাংশ কেন্দ্রে ভোটারদের হাতে নৌকা প্রার্থীর ছবি ও প্রতীক সংবলিত কাগজ দেওয়া হচ্ছে। ভোটারেরা সেই কাগজ হাতে কেন্দ্রে আসছেন। কেন্দ্র থেকে স্থানীয় গ্রাম প্রধানেরা তাদের নৌকায় ভোট দিতে বলছেন। একই সঙ্গে প্রকাশ্যে ব্যালট পেপার ভাঁজ করতে বলছে। সুজানগরের মোহাম্মদীয়া দাখিল মাদ্রাসা, মানিকহাট, সুজানগর পৌর এলাকার অধিকাংশ এলাকায় নৌকার প্রার্থীর সমর্থকেরা জাল ভোট দিয়েছে। জোর করে ভোট কেটে নিয়েছে। নোঙ্গর মার্কার এজেন্ট বের করে দিয়েছে।’
এদিকে পাবনা-৪ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী পাঞ্জাব আলী বিশ্বাস বলেন, ‘ভোটে কারচুপি, এজেন্ট নিয়োগে বাধা ও জাল ও অবৈধ ভোট প্রদানের অভিযোগে আমি এই ভোট বর্জন করেছি।’
পাবনা-২ আসনের সহকারী রিটার্নিং অফিসার সুখময় সরকার বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না। আমার কাছে উনি কোনো অভিযোগ দেননি। অত্যন্ত সুষ্ঠুভাবে ভোট হয়েছে। কোনো অনিয়ম হয়নি। উনি অভিযোগ দিলে তদন্ত করে দেখা হবে।’
পাবনা-৪ আসনের সহকারী রিটার্নিং অফিসার সুধীর কুমার দাস বলেন, ‘শুনেছি তিনি অভিযোগ তুলেছেন। তবে আমার কাছে কোনো অভিযোগ করেননি।’