নভেম্বর ১৬, ২০২৪

বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব চুক্তি (ইপিএ) সইয়ের জন্য আলোচনা চলছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ। তিনি জানান, এর ফলে বাংলাদেশি পণ্য জাপানের বাজারে শুল্কমুক্তভাবে প্রবেশ করতে পারবে।

আজ বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে দুই দেশের মধ্যে ইপিএ সইয়ের জন্য গঠিত যৌথ সমীক্ষা প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষ্যে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। এ সময়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরিও উপস্থিত ছিলেন।

সিনিয়র সচিব বলেন, আমরা আশাবাদী, ২০২৫ সালের ২৫ ডিসেম্বর কিংবা ২০২৬ সালের জুনের মধ্যে আমরা চুক্তি সই করতে পারব। কারণ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের কারণে ২০২৬ সালের নভেম্বরে আমরা সেখানে শুল্কমুক্ত সুবিধা হারাতে যাচ্ছি। কিন্তু এরইমধ্যে চুক্তি সই হলে, সেটা হারাতে হবে না।

ইপিএ থেকে বাংলাদেশের কী সুবিধা পাবে- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অবশ্যই বাংলাদেশ এখান থেকে লাভবান হবে। এটি থেকে প্রথমে যে অর্জনটি আসবে, সেটি হচ্ছে বাংলাদেশি পণ্য তাদের বাজারে শুল্কমুক্তভাবে প্রবেশ করতে পারবে। ২০২৬ সালের পরেও জাপানের বাজারে আমরা এই সুবিধা পাব। প্রতিবছর দুই দেশের মধ্যে বিনিয়োগও বাড়ছে।

তিনি বলেন, আমি খুবই আনন্দিত। কারণ প্রথমবার জাপানের মতো একটি বড়ো দেশের সঙ্গে অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব চুক্তি সই (ইপিএ) নিয়ে সত্যিকারের কোনো আলোচনা করতে যাচ্ছি। জাপান একটি উন্নত দেশ, অনেক বড়ো অর্থনীতি, তাদের সঙ্গে আমরা অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব চুক্তি করতে যাচ্ছি। এর আগে শ্রীলঙ্কা ও ভুটানের মতো ছোটোখাটো অনেক অর্থনীতির সঙ্গে ইপিএ নিয়ে আলোচনা করেছি।

সিনিয়র সচিব জানান, জাপানের সঙ্গে অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব চুক্তি (ইপিএ) কেবল বাণিজ্যের মধ্যেই সীমিত থাকবে না, এখানে বিনিয়োগ, সরকারি ক্রয়সহ সেবাখাতেও বিনিয়োগ হবে। এসময় বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি বলেন, এই চুক্তি থেকে দুইপক্ষ কী পরিমাণ লাভবান হবে, সেটা আগে বলা কঠিন হবে। তবে এটি কেবল শুল্কের সঙ্গেই সম্পর্কিত না, সেবাখাত, বিনিয়োগের পরিবেশ উন্নতকরণসহ বিভিন্ন বিষয় রয়েছে।

এ চুক্তি থেকে জাপান-বাংলাদেশ দুদেশই লাভবান হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ২০২৬ সালের মধ্যেই চুক্তিটি করতে হবে। যে কারণে বর্তমান পরিস্থিতি একটু ভিন্ন।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...