নৌকার প্রার্থী বা স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচন বিরোধী সহিংসতায় জড়িয়ে পড়ার কোনো সুযোগ নেই। এটা আমরা সমর্থন করি না । এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশন যে সিদ্ধান্ত নিবে আমরা সেটাকে সমর্থন করি বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
আজ সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
আসন্ন নির্বাচন নিয়ে তিনি বলেন, ‘যারা নির্বাচন অনুষ্ঠানে বিঘ্ন সৃষ্টি করবে, তাদেরকে নিষেধাজ্ঞা দেয়া এবং তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োগ করা এটাতো আমেরিকার বহুল প্রচারিত ঘোষণা। কোনো প্রার্থী সহিংসতায় জড়ালে, নির্বাচন কমিশন যে পদক্ষেপ নেবে, তা মেনে নেবে আওয়ামী লীগ।
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, সংঘাতের আশঙ্কা সবসময় থাকেই। তবে এ বিষয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতির জিরো টলারেন্স। যারাই নির্বাচনের পরিবেশ দূষিত করবে, সংঘাতে জড়াবে তাদের বিরুদ্ধে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা যথাযথ ব্যবস্থা নেবে। ইশতেহার প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, যারা বিরোধিতা করছে, তাদের ইশতেহার ঘোষণার অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হবে ন। যারা নির্বাচনের পক্ষে তারাই আমন্ত্রণ পাবেন।
এ সময় বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) কাছে ব্যাংক থেকে লোপাট হওয়া ৯২ হাজার কোটি টাকার সন্ধান চেয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, সিপিডি যেহেতু অনিয়মের অভিযোগ এনেছে, তাদেরই বলতে হবে সেই টাকাগুলো কোথায় আছে। তারা যদি বিস্তারিত তথ্য দেয়, আমরা সেই টাকা দেশে ফিরিয়ে আনবো।
তিনি বলেন, নির্বাচন সংক্রান্ত যত অভিযোগ সেটি কমিশন দেখবে। নির্বাচন কমিশন স্বাধীন একটি প্রতিষ্ঠান। আচরণবিধি লঙ্ঘন হলে দেখার দায়িত্ব কমিশনের। আমি কোনো দল বুঝি না, ১৮৯৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। সবাই প্রতিদ্বন্দ্বী। এ প্রতিদ্বিন্দ্বিতা বিঘ্নিত হলে, প্রতিযোগিতায় বিশৃঙ্খলা হলে, কমিশন ব্যবস্থা নিলে দল হিসেবে আওয়ামী লীগ আপত্তি করবে না। সহিংসতায় জড়িয়ে পড়ার কোনো সুযোগ নেই।