নভেম্বর ২৮, ২০২৪

সপ্তাহ ব্যবধানে আবারও অস্থির হয়ে ওঠেছে নিত্যপণ্যের বাজার। সাপ্তাহিক ছুটির দিনে বাজারে গিয়ে নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বমুখী দামে নাভিশ্বাস অবস্থা ক্রেতাদের। চাকরিজীবীদের মতে, বাজারের উর্ধ্বমুখী দামে তাদের মতো টোনাটুনির সংসার চালাতেও হিমশিম খেতে হচ্ছে। আজ শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) কেরানীগঞ্জের কালীগঞ্জ, আগানগর, জিনজিরা ও রাজধানীর কারওয়ান বাজারসহ বেশ কয়েকটি কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, সপ্তাহ ব্যবধানে ১০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে গেছে সবজির দাম।

এসব বাজার ঘুরে দেখা গেছে, চলতি সপ্তাহে লম্বা বেগুন প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকা, গোল বেগুন ৮০-৯০ টাকা, ফুলকপি ৪০-৫০ টাকা পিস, বাঁধাকপি ৪০-৫০ টাকা, শিম ৮০-১০০, টমেটো ৯০-১০০, পেঁপে ৪০-৫০ টাকা, করল্লা ৭০-৮০ টাকা, চিচিঙ্গা বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকা, ঢেরস ৭০-৮০ টাকা মান ও সাইজ ভেদে, লাউ ৬০-৮০ টাকা, কচুর লতি ৭০-৮০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। যা গেল সপ্তাহজুড়ে কিছুটা কমে বিক্রি হয়েছে।

এছাড়াও শাকের মধ্যে সরিষা শাক আটি প্রতি ১৫ টাকা, ডাটা শাক ১৫ টাকা, মুলা শাক ১৫ টাকা, লাউ শাক ৪০-৫০, পুঁইশাক ৩০ টাকা, লাল শাক ১৫ টাকা আটি বিক্রি হচ্ছে। তবে বাজারের দোকানের তুলনায় ভ্যানে কিংবা ফুটপাতের দোকানগুলোতে প্রত্যেক সবজির দাম ৫-১০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে, পাইকারি পর্যায়ে কমলেও খুচরা পর্যায়ে বেড়ে গেছে কাঁচা মরিচের দাম। বাজারে খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১২০ টাকায়; আর পাইকারি পর্যায়ে বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকায়।

একদিকে যখন বাড়ছে সবজির দাম, অন্যদিকে ক্রেতার ঘাম ছুটাচ্ছে মাছের দামও। সপ্তাহ ব্যবধানে মাছের দাম কেজিতে সামান্য বাড়লেও তা সাধ্যের বাইরে বলছেন ক্রেতারা। আর বিক্রেতাদের দাবি, মাছের বেচাবিক্রি কমে যাওয়ায় দাম কিছুটা বেড়েছে। তবে ইলিশ ছাড়া অন্যান্য মাছের সরবরাহ পর্যাপ্ত রয়েছে।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি বোয়াল ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা, আইড় ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা, বাইম ১ হাজার টাকা, দেশি কৈ ১ হাজার থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকা, শিং ১ হাজার ৪০০ টাকা, শোল ৯০০ থেকে ১ হাজার টাকা ও নদীর পাঙাশ বিক্রি হচ্ছে ৯০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায়।

এছাড়া আকারভেদে প্রতি কেজি রুই ৩৮০ থেকে ৪৫০ টাকা, কাতলা ৪০০ থেকে ৪৮০ টাকা, চাষের শিং ৫৫০ টাকা, চাষের মাগুর ৫২০ টাকা, চাষের কৈ ২২০ থেকে ২৫০ টাকা, কোরাল ৭৫০ টাকা, টেংরা ৬৫০ টাকা, চাষের পাঙাশ ২০০ থেকে ২২০ টাকা ও তেলাপিয়া ২০০ থেকে ২৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

তবে দেখা নেই রুপালি ইলিশের। দুই-একজন বিক্রেতার কাছে মিললেও কিনতে হচ্ছে চড়া দামে। ১ কেজি ওজনের ইলিশের দাম হাঁকা হচ্ছে ২ হাজার ২০০ থেকে ২ হাজার ৫০০ টাকা পর্যন্ত। আর ৬০০-৭০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ১ হাজার ৪০০ টাকা ও ৪০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৯০০ থেকে ১ হাজার টাকায়।

বাজারে ঊর্ধ্বমুখী মুরগি ও ডিমের দাম। সপ্তাহ ব্যবধানে কেজিতে ৩০ টাকা বেড়ে প্রতি কেজি সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩২০ টাকায়। আর প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৮০ থেকে ২০০ টাকা, দেশি মুরগি ৫০০ টাকা ও লাল লেয়ার বিক্রি হচ্ছে ২৬০ টাকায়।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...