টুঙ্গিপাড়া (গোপালগঞ্জ) জেলায় ১৫৩ হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। ভোজ্য তেলের আমাদানী নির্ভরতা কমিয়ে তেলজাতীয় ফসলের আবাদ বৃদ্ধির জন্য কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের গোপালগঞ্জ খামারবাড়ি এ উদ্যোগ নিয়েছে। গত বছর গোপালগঞ্জ জেলায় ৪ হাজার ৫শ’৭০ হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদ হয়েছিলো। এ বছর ১৫৩ হেক্টর জমিতে আবাদ বৃদ্ধির লক্ষ্য নিয়ে মোট ৪ হাজার ৭শ’২৩ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে দপ্তরটি।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের গোপালগঞ্জ খামারবাড়ির উপ-পরিচালক আঃ কাদের সরদার এ তথ্য জানিয়ে বলেন, গত বছর জেলায় ৪ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়। কিন্তু লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৭০ হেক্টরের বেশী জমিতে সরিষার আবাদ হয়। এ বছর আমরা ৪ হাজার ৭শ’২৩ হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছি। এতে এ বছর বাড়তি ১৫৩ হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদের লক্ষ্য স্থির করেছি। মাঠে এখনো সরিষা আবাদ অব্যাহত রয়েছে। এ বছর আবাদের এই লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যেতে পারে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন ওই কর্মকর্তা।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের গোপালগঞ্জ খামারবাড়ির অতিরিক্ত উপ-পরিচালক সঞ্জয় কুন্ডু বলেন, এবছর গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় ১ হাজার ৫শ’ ১০ হেক্টর, মুকসুদপুর উপজেলার ১ হাজার ৫শ’ ৩৮ হেক্টর, কাশিয়ানী উপজেলার ১ হাজার ১শ’ ২৫ হেক্টর , কোটালীপাড়া উপজেলার ২১৫ হেক্টর ও টুঙ্গিপাড়া উপজেলার ৩৩৫ হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
সরিষা আবদের জন্য জেলার ৫ উপজেলার ৬ হাজার ২ শ’ কৃষককে প্রণোদনা কর্মসূচীর আওতায় বিনামূল্যে ৬ হাজার ২ শ’ কেজি সরিষা বীজ, ৬২ টন ডিএপি সার ও ৬২ টন এমওপি সার বিতরণ করা হয়েছে। এ কারণে এ বছর গোপালগঞ্জ জেলায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি জমিতে সরিষার আবাদ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে । খবর বাসস।
অধিদপ্তরের গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাফরোজা আক্তার বলেন, সদর উপজেলায় ১ হাজার ৫শ’ ১০ হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। রবি মৌসুমটি সরিষা আবাদের অনুকূলে রয়েছে। এ কারণে এ উপজেলায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি জমিতে সরিষা আবাদ হতে পারে। এছাড়া গত মৌসুমে বাজারে সরিষার দাম ভাল ছিল। তাই এ বছরও সরিষার ভাল দাম পাবার আশায় সরিষা আবাদে কৃষকের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ সৃস্টি হয়েছে।