নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রশান্ত কুমার (পিকে) হালদারের কোম্পানির সব ধরনের শেয়ার ফ্রিজ করার জন্য সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেডকে (সিডিবিএল) নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউারিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলার আসামি পি কে হালদারের শেয়ার ফ্রিজ করার বিষয়ে আদালতের আদেশের পরপরই কমিশন এ নির্দেশ দিয়েছে।
বিএসইসির নির্দেশে বলা হয়েছে, মহানগর দায়রা জজ ও মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালত এবং দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ করা মামলায় আদালত গত ১৩ এপ্রিল পি কে হালদারের অস্থাবর সম্পদ অবরুদ্ধ বা ফ্রিজ করার আদেশ দেন। সে অনুযায়ী পি কে হালদারের অস্থাবর সম্পদ কোম্পানির শেয়ার অবরুদ্ধ বা ফ্রিজ করার জন্য সিডিবিএলকে আজ বৃহস্পতিবার (১৯ মে) নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএসইসির এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেছেন, ‘আদালতের নির্দেশ পাওয়ার পরই কমিশন থেকে পি কে হালদারের কোম্পানির শেয়ার ফ্রিজ করার জন্য সিডিবিএলকে বলা হয়েছে।’
এদিকে, রিলায়েন্স ফাইন্যান্স (আভিভা ফাইন্যান্স), এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক (গ্লোবাল ইসলামী) সাবেক এমডি পি কে হালদারসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে আজ আরেকটি মামলা করেছে দুদক। দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ মামলাটি দায়ের করেছেন সংস্থাটির সহকারী পরিচালক রাকিবুল হায়াত। মামলায় তাদের বিরুদ্ধে এফএএস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের ৪৪ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগ আনা হয়েছে। দিয়া শিপিং লিমিটেডের নামের একটি কাগুজে প্রতিষ্ঠানে এসব টাকা ঋণ দেওয়া হয়েছিল।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, ভারতে গ্রেপ্তার হওয়া পি কে হালদারের দখল করা চারটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে তিনি ও তার স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা প্রায় সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচার করেন। দুদক পি কে হালদারের প্রায় ১ হাজার কোটি টাকা দামের জমি, বাড়ি, ফ্ল্যাটসহ অন্যান্য স্থাবর সম্পদ ক্রোক করেছে। এছাড়া, পি কে হালদার ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে এ পর্যন্ত ৩৫টি মামলা করেছে দুদক। এসব মামলায় পি কে হালদারসহ আসামি ৮০ জন। তাদের মধ্যে ১২ জন গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছে।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি পি কে হালদার ও তার পাঁচ সহযোগীকে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলা থেকে গ্রেপ্তার করেছে ভারতের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। গ্রেপ্তারের আগে রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে পি কে হালদারের প্রাসাদোপম বাড়িসহ অনেক সম্পদের সন্ধান পায় ইডি। পিকে হালদার ২০১৯ সাল থেকে পালতক ছিল।