গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ও আইনের শাসন বাধাগ্রস্ত করার অভিযোগে মধ্য আমেরিকার দেশ গুয়াতেমালার ১০০ কংগ্রেস সদস্যসহ প্রায় ৩০০ নাগরিকের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সোমবার (১১ ডিসেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের এক বিবৃতিতে এই পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানানো হয়।
ভিসা নিষেধাজ্ঞার আওতায় আসা ব্যক্তিদের মধ্যে বেসরকারি পর্যায়ের ব্যক্তি ও তাদের পরিবারের সদস্যরাও রয়েছেন। গুয়েতেমালার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়া বেরনারদো আরেভালো গত শুক্রবার তার বিরুদ্ধে প্রসিকিউটরদের আনা আইনি পদক্ষেপের কঠোর সমালোচনা করার পর যুক্তরাষ্ট্র এ ব্যবস্থা নিলো।
বেরনারদো আরেভালোর নির্বাচনে বিজয় বাতিল চেয়ে ওই আইনি পদক্ষেপ নিয়েছেন প্রসিকিউটররা। তাদের এই পদক্ষেপকে ‘ন্যায়ভ্রষ্ট’ ও ‘অভ্যুত্থানচেষ্টা’ আখ্যায়িত করেছেন আরেভালো।
গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য গুয়াতেমালার ‘পাবলিক মিনিস্ট্রি’র বিভিন্ন পদক্ষেপেরও কঠোর সমালোচনা করেছে ওয়াশিংটন। অন্যান্য দেশে অ্যাটর্নি জেনারেলের দপ্তর যে ভূমিকা পালন করে, সেই কাজ গুয়াতেমালায় করে থাকে ‘পাবলিক মিনিস্ট্রি’।
দেশটির পাবলিক মিনিস্ট্রির পক্ষ থেকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন বাতিল ছাড়াও নির্বাচনসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা–কর্মচারী এবং দলীয় নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ঘোষণা করা হয়েছে। এ ছাড়া, কর্তৃপক্ষের কাছে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত বেরনারডো আরেভালোর একটি বিষয়ে দায়মুক্তি প্রত্যাহারেরও অনুরোধ করেছে মিনিস্ট্রি।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার বিবৃতিতে বলেছেন, গণতন্ত্রবিরোধী বহু কর্মকাণ্ডের ধারাবাহিকতায় এসব নির্লজ্জ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। নির্বাচনে গুয়াতেমালার জনগণ তাদের মতামত দিয়েছেন বলেছেন। তাদের মতামতকে অবশ্যই শ্রদ্ধা জানাতে হবে।