সেপ্টেম্বর ২০, ২০২৪

বিদায়ী ২০২২-২৩ অর্থবছরে পণ্য রপ্তানির ১ হাজার ১৯৯ কোটি বা প্রায় ১২ বিলিয়ন ডলার অর্থ দেশে ফেরেনি। দেশিয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ১ লাখ ৩২ হাজার ১৮৯ কোটি টাকা (১ ডলার= ১১০.২৫ টাকা)। আর সেবা রপ্তানির ৯ কোটি ডলার বা ৯৯২ কোটি টাকাও দেশে আসেনি। আজ সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২১-২২ অর্থবছরের তুলনায় বিদায়ী ২০২২-২৩ অর্থবছরে পণ্য রপ্তানি বাবদ ৩ কোটি মার্কিন ডলার কম এসেছে। যদিও রপ্তানি বেড়েছিল ৩৪৮ কোটি ডলার।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) দেশের পণ্য ও সেবা রপ্তানির পরিসংখ্যান আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করে। তাদের তথ্যানুযায়ী, ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৫ হাজার ৫৫৬ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়। এর মধ্যে ৪ হাজার ৩৫৭ কোটি ডলারের রপ্তানি আয় দেশে এসেছে বলে নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তার মানে ওই অর্থবছরের রপ্তানির ১ হাজার ১৯৯ কোটি ডলার দেশে আসেনি।

বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানির ৮৪ শতাংশ তৈরি পোশাক থেকে আসে। ইপিবির হিসাবে, গত অর্থবছরে ৪ হাজার ৬৯৯ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়। তবে বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, তৈরি পোশাক রপ্তানি থেকে গত অর্থবছরে ৩ হাজার ৬৯৫ কোটি ডলার দেশে এসেছে। তার মানে গত অর্থবছরে তৈরি পোশাক রপ্তানির ১ হাজার ৪ কোটি ডলার গত জুন পর্যন্ত দেশে আসেনি।

একইভাবে ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৯১ কোটি ডলারের পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানি হলেও দেশে এসেছে ৯১ কোটি ৫০ লাখ ডলার। চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের ১২২ কোটি ডলারের রপ্তানির মধ্যে দেশে ফিরেছে ১৩১ কোটি ডলার। আবার ১১০ কোটি ডলারের হোম টেক্সটাইল পণ্য রপ্তানি হলেও দেশে এসেছে ৭৩ কোটি ডলার।

ইপিবির তথ্যানুযায়ী, গত অর্থবছরে ৭৪৯ কোটি ডলারের সেবা রপ্তানি হয়। এর মধ্যে ৭৪০ কোটি ডলার দেশে এসেছে। অর্থাৎ সেবা খাতের রপ্তানির ৯ কোটি ডলার দেশে আসেনি।

জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক বলেন, ‘আমরা আগেও বলেছি, বাংলাদেশ ব্যাংক ও ইপিবির হিসাবের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। ব্যাংকের মাধ্যমে রপ্তানির অর্থ যতটুকু আসে, বাংলাদেশ ব্যাংক ততটুকু হিসাব করে। অন্যদিকে ইপিবি রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা (ইপিজেড), শর্ট শিপমেন্ট, ডিসকাউন্টসহ বিভিন্ন হিসাব যুক্ত করে পরিসংখ্যান দেয়। বাংলাদেশ ব্যাংক ও ইপিবির পরিসংখ্যানের পার্থক্য ব্যাখ্যা করতে একটি ত্রিপক্ষীয় কমিটি কাজ করছে। কমিটির প্রতিবেদন পাওয়া গেলে অনেক কিছু পরিষ্কার হবে।’

অপর এক প্রশ্নের জবাবে মেজবাউল হক বলেন, পণ্য রপ্তানি আয় অনেক ক্ষেত্রে পরেও আসে। পুনরায় রপ্তানির মতো ঘটনাও ঘটে।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *