ডিসেম্বর ২৩, ২০২৪

থেকে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত দুটোই উপভোগ করা যায়৷ কক্সবাজারের মতো সমুদ্রে দেখার জন্য কুয়াকাটা অনেকের পছন্দের স্থান। পদ্মা সেতু হবার ফলে কুয়াকাটা যেতে এখন আর আগের মতো সময় লাগে না৷ এখন বাসে করে খুব সহজেই ঢাকা কিংবা দেশের যেকোনো স্থান থেকে কুয়াকাটা যাওয়া যায়৷ কিন্তু আগে প্রায় অনেকগুলো ফেরি পার করে কুয়াকাটা যেতে হতো, এতো ভোগান্তি জন্য অনেকেই কুয়াকাটা যেত না৷ কুয়াকাটা গিয়ে মিশ্রিপাড়া বৌদ্ধ মন্দির দেখা যাবে, এটি কুয়াকাটা সমুদ্র থেকে ৮ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত৷ এছাড়া কুয়াকাটায় রয়েছে ঐতিহাসিক কুয়া, এটি রয়েছে রাখাইনদের বাসস্থল কেরাণিপাড়ায়৷ ইতিহাস ঘেটে জানা যায়
কুয়াকাটার সাথে জড়িয়ে রয়েছে আরাকানদের আগমনের ইতিহাস। ১৮ শতকের পানির অভাব পূরণ করার জন্য এ স্থানে অনেক কুয়া খনন করা হয়েছিল৷

পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত
কর্ণফুলী নদীর মোহনায় অবস্থিত পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত। তবে চট্টগ্রাম শহরে অবস্থিত হওয়ার কারণে এই সমুদ্রের আশেপাশে বেশ ব্যস্ততা লক্ষ্য করা যায়। এই সমুদ্রের সাথেই মিশে আছে কর্ণফুলী নদী। যারা খেতে ভালোবাসে তাদের জন্য পতেঙ্গা বেশ প্রিয় জায়গা। কারণ সৈকতের আশেপাশে রয়েছে নানাধরণের খাবারের দোকান৷ সী ফুড থেকে শুরু করে এমন কোনো খাবার নেই যা পাওয়া যায় না। তাই তো অনেকে সী ফুডের স্বাদ নিতে যান পতেঙ্গার পাড়ে৷ পতেঙ্গায় যেতে চাইলে প্রথমে চট্টগ্রাম শহরে যেতে হবে, পতেঙ্গা চট্টগ্রাম থেকে ১৪ কিলোমিটার দক্ষিণে।

ইনানী বিচ
ইনানী বিচের কথা কমবেশি সবাই জানে। কক্সবাজার থেকে ২৩ কিলোমিটার দূরে এটি অবস্থিত। অনেকেই ভাটার সময় ইনানী বিচে যেতে পছন্দ করে কারণ ভাটার সময় ইনানী বিচে প্রবাল পাথররের দেখা মিলে। কক্সবাজার থেকে ইনানী বিচে যাবার পথে সারি সারি ঝাউবন আপনাকে বিমোহিত করতে বাধ্য৷ কক্সবাজারের সমুদ্র থেকে ইনানী বিচের সমুদ্র আপনার অস্থির মনকে শান্ত করে দিবে কারণ এই বিচের সমুদ্র নিজেই খুব শান্ত প্রকৃতির৷ আর বিকেলের দিকে তুলনামূলক মানুষের ভীড় কম থাকে৷ ইনানী বিচ যেতে চাইলে প্রথমে কক্সবাজার যেতে হবে। কক্সবাজারে যে হোটেলে উঠবেন সে হোটেলে গাড়ির ব্যবস্থা থাকলে গাড়ি দিয়ে খুব সহজেই ইনানী বিচ যেতে পারেন কিংবা সেখানে কিছু খোলা জিপ পাওয়া যায় তা দিয়েও যেতে পারেন৷ ইনানী বিচ কক্সবাজার থেকে খুব দূর না হবার কারণে সকালে গিয়ে রাতের মধ্যেই কক্সবাজারে ফিরে আসতে পারবেন৷ তবে যদি ইনানী বিচে রাত কাটাতে চান তবে থাকারও সুব্যবস্থা রয়েছে৷ বিচের আশেপাশে রয়েছে বিভিন্ন হোটেল যেমন ইনানী রয়াল
রিসোর্ট, টিউলিপ রিসোর্ট, রয়েল ফাইভ স্টার ইত্যাদি৷

লাবনী পয়েন্ট
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের একটি অংশের নাম লাবনী পয়েন্ট। কক্সবাজার বেড়াতে গলে সমুদে দেখা শুরু হয়ে থাকে লাবনী পয়েন্ট থেকেই। খুব ভোরে এই লাবনী পয়েন্টে দেখতে পারবেন জেলেদের মাছ ধরার দৃশ্য।

পাটুয়ারটেক সমুদ্র সৈকত
ইনানী থেকে এই সমুদ্র সৈকত ছয় কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। পাটুয়ারটেক সমুদ্র সৈকতে গেলে কিছুক্ষণের জন্য আপনার মনে হতেই পারে আপনি সেন্ট মার্টিনে আছেন কারণ এর পানিতে হালকা নীল আভার রয়েছে৷ লোকের ভীড় কম থাকবার কারণস এই সৈকত অন্যান্য জায়গার তুলনায় বেশ পরিষ্কার৷ এখানে অনেক সময় নুড়ি পাথরের দেখাও মিলতে পারে৷ পাটুয়ারটেক সমুদ্র সৈকতে সবচেয়ে বেশি দেখা যায় লাল কাঁকড়া। এই সি বীচ টি বেশ নিরিবিলি। পাটুয়ারটেকে যাবার পথে প্রকৃতি যেন আপনায় হাতছানি দিয়ে ডাকবে৷ পথে পথে দেখা যাবে পূর্বপাশের টারশিয়ারী যুগের পাহাড় এবং পাহাড়ের উপর রয়েছে নানা জাতের পাতা৷ যেদিকে তাকাবেন দেখা যাবে বিশাল জলরাশি। এখানেও রয়েছে বিশাল প্রবাল পাথরের স্তুপ। কক্সবাজারে ঘুরতে আসা খুব কম মানুষ এখনি ঘুরতে আসে, তাই আপনি যদি কিছুক্ষণ নির্জনে সমুদ্রকে উপভোগ করতে চান তবে পাটুয়ারটেক সমুদ্র সৈকত হতে পারে আপনার পছন্দের স্থান৷

সোহনখালী সমুদ্র সৈকত
অনেক ধরণের নৌকা আর মাছ ধরা দেখবার ইচ্ছে থাকলে চলে যেতে পারেন সোহনখালী সমুদ্র সৈকত । বিভিন্ন রং এর সাম্পানগুলো এই সমুদ্র সৈকত যেন আরো বেশি রঙিন করে তুলেছে। এখানে বেশিরভাগ জেলেদের আনাগোনা এবং লোকালয় থেকে একটু ভেতরে। তাই সন্ধ্যা হবার আগে ফিরতে চাইলে সকাল করে বের হতে হবে ও হাতে যথেষ্ট সময় রাখতে হবে৷
সাগরকন্যা কুয়াকাটা
সমুদ্র দেখার জন্য কক্সবাজারে না গিয়ে কুয়াকাটা থেকেও ঘুরে আসতে পারেন। কুয়াকাটা পটুয়াখালী জেলার একটি শহর৷ ১৮
কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের সৈকত বিশিষ্ট কুয়াকাটা বাংলাদেশের অন্যতম নৈসর্গিক সমুদ্র সৈকত। এখান থেকে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত দুটোই উপভোগ করা যায়৷ কক্সবাজারের মতো সমুদ্রে দেখার জন্য কুয়াকাটা অনেকের পছন্দের স্থান। পদ্মা সেতু হবার ফলে কুয়াকাটা যেতে এখন আর আগের মতো সময় লাগে না৷ এখন বাসে করে খুব সহজেই ঢাকা কিংবা দেশের যেকোনো স্থান থেকে কুয়াকাটা যাওয়া যায়৷ কিন্তু আগে প্রায় অনেকগুলো ফেরি পার করে কুয়াকাটা যেতে হতো, এতো ভোগান্তি জন্য অনেকেই কুয়াকাটা যেত না৷ কুয়াকাটা গিয়ে মিশ্রিপাড়া বৌদ্ধ মন্দির দেখা যাবে, এটি কুয়াকাটা সমুদ্র থেকে ৮ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত৷ এছাড়া কুয়াকাটায় রয়েছে ঐতিহাসিক কুয়া, এটি রয়েছে রাখাইনদের বাসস্থল কেরাণিপাড়ায়৷ ইতিহাস ঘেটে জানা যায়
কুয়াকাটার সাথে জড়িয়ে রয়েছে আরাকানদের আগমনের ইতিহাস। ১৮ শতকের পানির অভাব পূরণ করার জন্য এ স্থানে অনেক কুয়া খনন করা হয়েছিল৷

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...