দক্ষিণ এশিয়ার দুই দেশ চীন ও ভারতের নাগরিকদের জন্য ভিসামুক্ত প্রবেশ সুবিধা চালু করছে মালয়েশিয়া। মূলত পর্যটক আকর্ষণ করার জন্যই এমনটি করেছে দেশটি। নতুন এই সিদ্ধান্তের ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম। খবর রয়টার্স।
রোববার (২৬ নভেম্বর) গভীর রাতে নিজের রাজনৈতিক দল পিপলস জাস্টিস পার্টির কংগ্রেসে দেওয়া বক্তৃতায় এই ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে দেশ দুইটির নাগরিকরা ভিসা ছাড়াই মালয়েশিয়ায় প্রবেশ করতে পারবেন।
আনোয়ার ইব্রাহিম বলেছেন, চীন ও ভারতের নাগরিকদের জন্য মালয়েশিয়া ভিসামুক্ত প্রবেশ সুবিধা চালু করছে। একবার দেশটিতে যাওয়ার পর সেখানে সর্বোচ্চ ৩০ দিন পর্যন্ত তারা অবস্থান করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
সোমবার (২৭ নভেম্বর) মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রকল্যাণবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, চীন এবং ভারতের নাগরিকদের জন্য চালু করা ভিসামুক্ত প্রবেশ সুবিধা ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।
মালয়েশিয়ার চতুর্থ এবং পঞ্চম বৃহত্তম পর্যটক উৎস দেশ চীন ও ভারত। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে প্রায় ৯১ লাখ ৬০ হাজার বিদেশি পর্যটক মালয়েশিয়া ভ্রমণ করেছেন।
গত সপ্তাহে মালয়েশিয়া এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) কয়েকটি দেশের নাগরিকদের জন্য আগামী মাস থেকে ভিসামুক্ত প্রবেশ সুবিধা চালুর ঘোষণা দিয়েছে চীন। পর্যটন খাতের ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল থাইল্যান্ডও সম্প্রতি চীন, ভারতসহ অন্যান্য কয়েকটি দেশের নাগরিকদের জন্য ভিসামুক্ত প্রবেশ সুবিধা চালু করেছে।
মালয়েশিয়ার সরকারের তথ্য অনুযায়ী, এই পর্যটকদের মধ্যে কেবল চীনা নাগরিক ছিলেন ৪ লাখ ৯৮ হাজার ৫৪০ জন। আর ভারত থেকে দেশটিতে ঘুরতে যাওয়া পর্যটকের সংখ্যা ছিল ২ লাখ ৮৩ হাজার ৮৮৫ জন।
সেই তুলনায় করোনাভাইরাস মহামারির আগে ২০১৯ সালে মালয়েশিয়ায় চীন এবং ভারত থেকে ঘুরতে যাওয়া পর্যটকের সংখ্যা ছিল যথাক্রমে ১৫ লাখ এবং ৩ লাখ ৫৪ হাজার ৪৮৬ জন।
করোনাভাইরাস মহামারি, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ও অন্যান্য বৈশ্বিক সংকটের কারণে এশিয়ার পর্যটন নির্ভর অনেক দেশে ব্যাপক অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতা তৈরি হয়েছে। যে কারণে পর্যটকদের টানতে বিভিন্ন সময়ে নানা ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করছে এই অঞ্চলের দেশগুলো। মালয়েশিয়ার মতো ভিসামুক্ত প্রবেশ সুবিধা চালু করেছে এশিয়ার অন্যান্য কয়েকটি দেশও।