বিজ রিপোর্ট
পুঁজিবাজারকে সুসংহত ও সক্রিয় রাখতে ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশকে (আইসিবি) আরও কার্যকর ভূমিকা পালনে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছে সংসদীয় কমিটি।
বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত সরকারি প্রতিষ্ঠান সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এই নির্দেশ দেওয়া হয়।
কমিটির সভাপতি আ স ম ফিরোজের সভাপতিত্বে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে কমিটির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান, মো. মাহবুবউল আলম হানিফ, মুহিবুর রহমান মানিক ও নাহিদ ইজাহার খান উপস্থিত ছিলেন। এসময় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।
কমিটি সূত্র জানায়, বৈঠকে আইসিবির বিষয়ে নেওয়া পদক্ষেপ, শেয়ারবাজারকে সুসংহত ও সক্রিয় রাখতে আইসিবির ভূমিকা, বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগে উৎসাহ বাড়াতে আইসিবির নেওয়া কার্যক্রম, শিল্পখাতে আইসিবির বিনিয়োগ তথা দেশের শিল্পায়নে আইসিবির ভূমিকা, দেশের স্বনির্ভর অর্থনীতি গড়ে তুলতে আইসিবির প্রয়াস, আইসিবির বিগত ১০ বছরের লাভ-লোকসানের হিসাবসহ আর্থিক বিবরণী এবং অনিষ্পন্ন অডিট আপত্তি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা হয়। আলোচনা শেষে শেয়ারবাজারকে সুসংহত ও সক্রিয় রাখতে আইসিবিকে আরও কার্যকর ভূমিকা পালনে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়।
বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি আ স ম ফিরোজ সাংবাদিকদের জানান, সরকারের সদিচ্ছা সত্ত্বেও বিনিয়োগের ক্ষেত্র সম্প্রসারণে ব্যর্থ হচ্ছে আইসিবি। আইসিবির ঋণ আদায়ের হার সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশ। কারণ অনুসন্ধান করতে গিয়ে জানা গেছে, অনেক অস্তিত্বহীন ও নামসর্বস্ব প্রতিষ্ঠানের নামে ঋণ দেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে নীতিমালা অনুসরণ করা হয়নি। অডিট আপত্তির সংখ্যাও বেশি। এসব বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন কমিটির সদস্যরা। কমিটির পক্ষ থেকে ওইসব ঋণ অনুমোদনে জড়িত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি ঋণ আদায়ে আরও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।
রিজার্ভ কমে ৩৫.৯৮ বিলিয়ন ডলার
নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশ: ২০২২-১০-২০ ২১:১২:৫০
সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন
দেশের মধ্যে ডলার সংকট চরমে। এ সংকট দূর করতে রিজার্ভ থেকে ডলার সরবরাহ করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আর এতেই টান পড়ছে রিজার্ভে। দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আরও কমে ৩৫ বিলিয়নে নেমে এসেছে। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে ব্যাংকগুলোর কাছে ৬০ মিলিয়ন ডলার বিক্রি করা হয়েছে। আর এতেই রিজার্ভ কমে দাঁড়িয়েছে ৩৫ দশমিক ৯৮ বিলিয়ন ডলারে। এ নিয়ে চলতি অর্থবছর মোট সাড়ে ৪ বিলিয়ন ডলার বিক্রি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী, ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে রেমিট্যান্স এসেছে ৫৬৭ কোটি ২৭ লাখ ডলার। ২০২১-২২ অর্থবছরের একই সময়ে (প্রথম তিন মাস) যেখানে এসেছিল ৫৪০ কোটি ৮৩ লাখ ডলার। তারও আগে ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে রেমিট্যান্সে এসেছে ৬৭১ কোটি ৩২ লাখ ডলার। করোনার মধ্যেও ২০২০-২১ অর্থবছরে রেকর্ড পরিমাণ রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা।
সম্প্রতি ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রবাসী আয় পাঠানোর হার কমেছে, হুন্ডির মাধ্যমে বেশি আসছে রেমিট্যান্স। রেমিট্যান্স কমায় সার্বিক অর্থনীতিতে চোখ রাঙাচ্ছে ‘ডলার সংকট’। এ সংকট সরাসরি বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপর প্রভাব ফেলছে। সংকট কমার পরিবর্তে ধীরে ধীরে প্রকট আকার ধারণ করছে। বাংলাদেশ ব্যাংক নগদ ডলার সরবরাহ করে চাপ সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছে। সহসাই এ সমস্যার সমাধান না হলে আগামীতে দেশের অর্থনীতি আরও বড় সমস্যার মুখে পড়তে পারে বলে জানিয়েছেন খাত সংশ্লিষ্টরা।
এর আগে ১৯৯৪-৯৫ অর্থবছরে রিজার্ভ ছিল ৩০০ কোটি ডলার বা ৩ বিলিয়ন ডলারের বেশি। ১৯৯৬-৯৭ অর্থবছরে তা ১০০ কোটি বা ১ বিলিয়ন ডলারে নেমে আসে। ২০০১-০২ অর্থবছর পর্যন্ত রিজার্ভ ২ বিলিয়ন ডলারে (প্রায় ২০০ কোটি ডলার)। এরপর ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে। ২০০৮-০৯ অর্থবছরে বৈশ্বিক মন্দা হলে রিজার্ভ ৭ বিলিয়ন থেকে কমে ৫ বিলিয়নে নেমে আসে। এরপর ধীরে ধীরে আবারও বাড়তে থাকে। সবশেষ গত বছরের আগস্টে ৪৮ বিলিয়ন ডলার ছাড়ায় রিজার্ভ। এখন তা কমে ৩৫ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে।