গাজার সবচেয়ে বড় চিকিৎসাকেন্দ্র আল-শিফা হাসপাতাল খালি করার নির্দেশ দিয়েছে ইসরাইলি সেনারা। হাসপাতালটি তিন দিন ধরে অবরুদ্ধ রেখে অভিযান পরিচালনার পর শনিবার এ নির্দেশনা দিল দেশটির সেনাবাহিনী।
গত ১৫ নভেম্বর আল-শিফা হাসপাতালের ভেতরে অভিযান শুরু করে ইসরাইল। রোগী, চিকিৎসাকর্মী ও আশ্রয় নেওয়া মিলিয়ে ৭ হাজার লোক হাসপাতালটিতে আটকা পড়েছে। শনিবার হাসপাতালটির আইসিইউতে থাকা সব রোগীর মৃত্যু হয়েছে বলে জানায় আল-জাজিরা। এর পরপরই হাসপাতালটি খালি করার নির্দেশ দিল ইসরাইলি বাহিনী।
তবে ইসরাইলের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, এমন কোনো নির্দেশনা তারা দেয়নি।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা জানিয়েছে, চিকিৎসক-রোগী ও আশ্রয় নেওয়া সাধারণ মানুষসহ সবাইকে হাসপাতাল ও এর প্রাঙ্গণ ছেড়ে চলে যেতে বলা হয়েছে। ইতোমধ্যে সবাইকে সরিয়ে নেওয়ার কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
একজন চিকিৎসকের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যমটি বলেছে, ইসরাইলি সেনাবাহিনী আমাদের সবাইকে এক ঘণ্টা সময় বেধে দিয়েছে। এর মধ্যে আমাদের আল-রশিদ সড়ক দিয়ে অন্যত্র সরে যেতে বলেছে।
ওই চিকিৎসক আরো জানান, ইসরাইলিদের বেধে দেওয়া সময়ের মধ্যে সব মানুষকে হাসপাতাল থেকে সরিয়ে নেওয়া অসম্ভব। কারণ আশঙ্কাজনক রোগী ও ইনকিউবেটরে থাকা শিশুদের অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার জন্য কোনো অ্যাম্বুলেন্স নেই।
শুক্রবার হাসপাতালটির পরিচালক মুহাম্মদ আবু সালমিয়া বলেন, হাসপাতালের চারদিকে ইসরাইলি ট্যাংক ঘিরে রয়েছে। উপর দিয়ে ওড়ানো হচ্ছে ড্রোন। ইসরাইলি বাহিনী হাসপাতালটিতে কাউকে ঢুকতে বা বের হতে দিচ্ছে না। ফলে এটি এখন বড় কারাগার ও গণকবরে পরিণত হয়েছে।